জবাবঃ-
রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিলে এর হুকুম কি?সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
বিনা কারণে তালাক প্রদান কি জায়েয বা এর শাস্তি কি?
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
قال تعالى: (فإن كرهتموهن فعسى أن تكرهوا شيئاً ويجعل الله فيه خيراً كثيراً)
অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।(সূরা নিসা-১৯)
তালাক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «أبغض الحلال إلى الله تعالى الطلاق»
অর্থ:রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় হালাল হচ্ছে 'তালাক'।(আবু দাউদ-২১৭৮)
হযরত আবু মুসা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي موسى رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إن الله تعالى لا يحب الذواقين ولا الذواقات
قال الهيثمي : رواه الطبراني وفيه راو لم يسم وبقية إسناده حسن. مجمع الزوائد - (4 / 617) ،
وضعفه الشيخ الألباني في ضعيف الجامع برقم : 1673
অর্থঃ-রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা স্বাদ আস্বাদনকারী পুরুষ ও স্বাদ আস্বাদনকারী মহিলাদেরকে পছন্দ করেন না।(মাজমা'উ যাওয়ায়েদ-৪/৬১৭)
বিনা কারণে তালাক আবেদন কারী মহিলা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﺃَﻳُّﻤَﺎ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﺳَﺄَﻟَﺖْ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﻃَﻼَﻗًﺎ ﻓِﻰ ﻏَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺑَﺄْﺱٍ ﻓَﺤَﺮَﺍﻡٌ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺭَﺍﺋِﺤَﺔُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ . ‘
যে মহিলা বিনা কারণে তার স্বামীর নিকটে তালাক্ব চায়, তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধিও হারাম’।
[আবুদাউদ হা/২২২৬; তিরমিযী হা/১১৮৭; ইবনু মাজাহ হা/২০৫৫; মিশকাত হা/৩২৭৯, সনদ ছহীহ।].
সু-প্রিয় প্রশানকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রী মধ্যকার তালাক বায়েন হওয়ার পর তালাক পতিত হয়ে,বিয়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে।তাই তারা আর পরবর্তীতে তালাক দিতে বা নিতে পারবে না।