বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/78
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
৫ দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।
তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ষষ্ট দিন হায়েয বন্ধ হওয়ার পর যদি আবার ১০ দিনের ভিতর দেখা দেয়,তাহলে এই ১০ দিন পর্যন্ত সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।
ষষ্ট দিনে হায়েয বন্ধ হওয়ার পর সপ্তম দিনে আবার দেখা দেওয়ার পরও আপনার জন্য নামায রোযা কিছুই করা জায়েয হয়নি।বরং দশদিন পর্যন্ত আপনি কোনো প্রকার ইবাদত করবেন না।উক্ত দশদিনের রোযাকে আপনি কাযা করবেন।
(১)
রোযাকে আবার কাযা করতে হবে।
(২)
জ্বী,আপনার জন্য উচিৎ হয়নি।তবে যেহেতু আপনি না জেনে করেছেন,তাই আপাতত গোনাহ হচ্ছে না।তবে ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন।
(৩)
পরের দিন সকালে গোসল করলেও হবে।আপনার রোযাতে কোনো সমস্যা হবে না।তবে যেহেতু এটা ফরয গোসল।তাই যত তারাতারি গোসল করে নেয়াই উত্তম। গোসল ছাড়া সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোযা হবে।