ঈসা (আঃ) কে ঈসা রুহুল্লাহ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত রুহের মাধ্যমে মানব সৃষ্টির নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে বিবি মরিয়ম (আঃ) এর গর্ভে সৃষ্ট হন।
এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেনঃ
“তিনি (বিবি মরিয়ম) বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন এ ভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যখন কোন কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’ অমনি তা হয়ে যায়।” (৪:৪৭)
“অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ (হযরত জিব্রাঈল) প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও। সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব। মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি কখনো ব্যভিচারিণীও ছিলাম না ? সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার। অতঃপর তিনি গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন এবং তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেলেন।” (১৯:১৭-২২)
,
আল্লাহ তা'আলা মানব জাতীর মূল স্বত্ব তথা আদম আঃ কে মাঠি থেকে তৈরী করেছেন,অতঃপর মানব জাতীর বংশধারা বীর্যর মাধ্যমে সংরক্ষিত করে রেখেছেন।
অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা আদম আঃ কে মাঠি থেকে তৈরী করেছেন,অতঃপর সমস্ত মানুষকে বীর্য থেকে তৈরী করেছেন,যে বীর্য ফলমূল থেকে উৎপন্ন হয়েছে।আর ফলমূল মাঠি থেকে তৈরী হয়েছে।
তাই সকল মানুষকে আদম সন্তান বলা হয়।
,
আরো জানুনঃ
,
★মারইয়াম আঃ এর গর্ভের সন্তানটিকেও আল্লাহ তায়ালা নিজ হুকুমে মারইয়াম আঃ এর বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন,তারই রক্ত পান করিয়েছেন,যাহা মাটি থেকেই তৈরী, তাই তিনও আদম সন্তান।
(০২)
হাবিল নবি,রাসুল ছিলেননা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন: ‘’যে কোন ব্যক্তিকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়, তার পাপের ভাগ আদম (আ.)-এর প্রথম (হত্যাকারী) পুত্র (কাবিল) এর উপরও বর্তাবে। কারন সে-ই প্রথমে হত্যার রীতি চালু করে’’ বুখারী ৩৩৩৫, ৬৮৬৭, ৭৩২১; মুসলিম ৪২৭১-(২৭/১৬৭৭); তিরমিযি ২৬৭৩; ইবন মাযাহ ২৬১৬, ২৬১৭; মিশকাতুল মাসাবীহ ২১১
(০৩)
আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«نَارُكُمْ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ»، قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَتْ لَكَافِيَةً قَالَ: «فُضِّلَتْ عَلَيْهِنَّ بِتِسْعَةٍ وَسِتِّينَ جُزْءًا كُلُّهُنَّ مِثْلُ حَرِّهَا»
“তোমাদের দুনিয়ার আগুন, জাহান্নামের আগুনের ৭০ ভাগের ১ ভাগ। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, এটা কি যথেষ্ট নয়? তিনি উত্তরে বলেন: এর সাথে আরো ৬৯ গুন যোগ করা হবে এবং প্রত্যেকটির গুণ এ আগুনের মতো।” (বুখারি, ৩২৬৫ ও মুসলিম, ২৮৪৩)
,
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
الحديث المشهور عن سلمان الفارسي -رضي الله عنه- أخرجه عنه جماعة منهم ابن خزيمة في صحيحه، وابن شاهين في فضائل رمضان، والبيهقي في الشعب وفي فضائل الأوقات.
وبوب له ابن خزيمة بقوله: (بَابُ فَضَائِلِ شَهْرِ رَمَضَانَ، إِنَّ صَحَّ الْخَبَرُ.) ولفظه عنده: عَنْ سَلْمَانَ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ، فَقَالَ: "أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ أَظَلَّكُمْ شَهْرٌ عَظِيمٌ، شَهْرٌ مُبَارَكٌ، شَهْرٌ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ، جَعَلَ اللَّهُ صِيَامَهُ فَرِيضَةً، وَقِيَامَ لَيْلِهِ تَطَوُّعًا. مَنْ تَقَرَّبَ فِيهِ بِخَصْلَةٍ مِنَ الْخَيْرِ، كَانَ كَمَنْ أَدَّى فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ، وَمَنْ أَدَّى فِيهِ فَرِيضَةً، كَانَ كَمَنْ أَدَّى سَبْعِينَ فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ. وَهُوَ شَهْرُ الصَّبْرِ، وَالصَّبْرُ ثَوَابُهُ الْجَنَّةُ، وَشَهْرُ الْمُوَاسَاةِ، وَشَهْرٌ يَزْدَادُ فِيهِ رِزْقُ الْمُؤْمِنِ، مَنْ فَطَّرَ فِيهِ صَائِمًا كَانَ مَغْفِرَةً لِذُنُوبِهِ، وَعِتْقَ رَقَبَتِهِ مِنَ النَّارِ، وَكَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْتَقِصَ مِنْ أَجْرِهِ شَيْءٌ". قَالُوا: لَيْسَ كُلُّنَا نَجِدُ مَا يُفَطِّرُ الصَّائِمَ. فَقَالَ: "يُعْطِي اللَّهُ هَذَا الثَّوَابَ مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا عَلَى تَمْرَةٍ، أَوْ شَرْبَةِ مَاءٍ، أَوْ مَذْقَةِ لَبَنٍ. وَهُوَ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ، وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ، وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِ. مَنْ خَفَّفَ عَنْ مَمْلُوكِهِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ، وَأَعْتَقَهُ مِنَ النَّارِ. وَاسْتَكْثِرُوا فِيهِ مِنْ أَرْبَعِ خِصَالٍ: خَصْلَتَيْنِ تُرْضُونَ بِهِمَا رَبَّكُمْ، وَخَصْلَتَيْنِ لَا غِنًى بِكُمْ عَنْهُمَا. فَأَمَّا الْخَصْلَتَانِ اللَّتَانِ تُرْضُونَ بِهِمَا رَبَّكُمْ: فَشَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَتَسْتَغْفِرُونَهُ. وَأَمَّا اللَّتَانِ لَا غِنًى بِكُمْ عَنْهُمَا: فَتَسْأَلُونَ اللَّهَ الْجَنَّةَ، وَتَعُوذُونَ بِهِ مِنَ النَّارِ.
وَمَنْ أَشْبَعَ فِيهِ صَائِمًا، سَقَاهُ اللَّهُ مِنْ حَوْضِي شَرْبَةً لَا يَظْمَأُ حَتَّى يَدْخُلَ الْجَنَّةَ.
সারমর্মঃ
ইবনে খুযাইমা তাঁর সহিহ গ্রন্থে সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের শেষদিন আমাদের উদ্দেশ্য খোতবা দিলেন। তিনি বললেন: “হে লোক সকল! এক মহান মাস, এক মুবারকময় মাস তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করেছে...”।
হাদিসের শেষ দিকে রয়েছে “এ মাসের প্রথমভাগ হচ্ছে- রহমত। দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছে- মাগফিরাত। আর তৃতীয় ভাগ হচ্ছে- জাহান্নাম থেকে নাজাত”