মুখস্থ কুরআন পড়ার জন্য ওযু থাকা জরুরি নয়। বরং ওযু ছাড়া আপনি শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে, গাড়িতে বসে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে যখন-যেভাবে খুশি মুখস্থ কুরআন পড়তে পারেন।
.
সুতরাং অযু ছাড়া অবস্থায় মুখে মুখে কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েজ। কিন্তু কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ নয়।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍأَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ :« لاَ تَقْرَأُ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ »
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ হায়েজা এবং গোসল ওয়াজিব হওয়া ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করবে না। {সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৫৩৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৩১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৯০০, মুসনান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯৮}
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রুকইয়াহ তিলাওয়াত করা অবস্থায় যেহেতু সাদা স্রাব বের হয়েছে,তাই এর অযু ভেঙ্গে গিয়েছে,এমতাবস্থায় যদি কুরআন স্পর্শ না করা হয়,তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই।
অযু ছাড়াও মুখস্থ রুকইয়াহ তিলাওয়াত করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
তাই উক্ত পড়া বাতিল হবেনা।
তবে রুকইয়া সম্পর্কে বুযুর্গানে দ্বীন বলেন যে ভালো চিকিৎসার জন্য অযু অবস্থায় রুকইয়াহ পড়তে হয়,তাই আপনি অযু করে পবিত্র হয়ে আবার রুকইয়াহ পাঠ করতে পারেন।
,
অযু ছাড়া অবস্থায় তিলাওয়াত এর কারনে গুনাহ হবেনা।
(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ