আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
417 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (61 points)
১. সুদের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে সূদ দাতা, সূদ গ্রহীতা এবং এর সাথে জড়িত সকলে সমান গুনাহগার।  কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সূদের অংশ যে গ্রহণ করলো সেই টাকাটা তো সম্পুর্নভাবেই হারাম। কিন্তু যে ব্যাক্তি লোন নিলো সে তো গুনাহগার হয়েছে নিঃসন্দেহে কিন্তু লোন নেয়া টাকাটা কি হারাম হবে? যেমন একজন ব্যাংক থেকে ১লাখ টাকা নিলো। এক্ষেত্রে যে লভ্যাংশ ব্যাংক গ্রহণ করলে সেটা তো পুরোপুরি হারাম। কিন্তু যে ব্যাক্তি ১লাখ টাকা লোন হিসেনে নিলো সেই ১লাখ টাকা কি হারাম হবে? আর সে টাকা ব্যাবসায় বিনিয়োগ করলে কি সেটিতে হারাম মিশ্রিত হবে। নাকি সে শুধু গুনাহগার হবে সুদ ভিত্তিক লেনদেনের জন্য।

২. বর্তমানে ফ্লাট মর্টগেজের একটি প্রচলন খুব দেখা যায়। যেটি বন্ধকের শ্রেণিভুক্ত।  এবং এটিও সূদের মধ্যে পড়ে যায় বলে শুনেছি। এব্যাপারে ফতোয়া জানতে চাচ্ছিলাম। আর এর কি কোন বিকল্প পন্থা রয়েছে যেভাবে লেনদেনটি করলে সেটি হালাল হয়ে যাবে সূদের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ব্যাংক লোন হারাম।

কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই টাকা যে ব্যাবসায় বিনিয়োগ করেছে,এক্ষেত্রে সূদ,লোন এর টাকা  পরিশোধ করার পর সেই ব্যাবসা হালাল হবে।
,  

(০২)
ফ্লাট মর্টগেজ বলা হয়ঃ
এককালীন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে কয়েক বছরের জন্য মালিকের কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি বসবাসের জন্য নেয় দ্বিতীয় পক্ষ।

 এ নিয়ে দলিল করা হয়। শর্ত থাকে, চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ও গ্যাস বিল প্রদান ছাড়া কোনো অর্থ ফ্ল্যাট ব্যবহারকারীকে দিতে হবে না।

 চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে মালিক এককালীন পাওয়া ওই পুরো অর্থ ব্যবহারকারীকে ফেরত দেবেন। এভাবে মালিক যেমন একসঙ্গে প্রয়োজনীয় অর্থ পান, তেমনি বন্দোবস্ত নেওয়া ব্যক্তি পরিষেবা বিল দেওয়া ছাড়া বিনা ভাড়ায় লম্বা সময় ফ্ল্যাটে বসবাস করার সুযোগ পান। মালিক অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ফ্ল্যাটটি ছাড়েন না। সে ক্ষেত্রে নতুন চুক্তিও করা হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
,

বিস্তারিত জানুনঃ 

এ পদ্ধতি স্পষ্ট সুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাহা হারাম।
এক্ষেত্রে পন্থা হলোঃ
 প্রশ্নে উল্লেখিত চুক্তি বাতিল করে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পদ্ধতি অবলম্বন করবে। অর্থাৎ যত দিন পর্যন্ত ঋণের টাকা শোধ না হয় ঋণদাতা ফ্ল্যাটের উক্ত ইউনিট/তলা টি ইজারা পদ্ধতিতে তা ভোগ করবে এবং তার ন্যায্য ভাড়াও মালিককে আদায় করবে। 

এ ক্ষেত্রে ঋণ ও ইজারাচুক্তি দুটি ভিন্ন হতে হবে, দুটি চুক্তিকে মিলিয়ে একটি অপরটির ওপর শর্তযুক্ত হতে পারবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৪৬৫, ইমদাদুল আহকাম ৩/৫১৮)

অথবা বাই বিল ওয়াফা তথা উক্ত টাকার বিনিময়ে কোনো এক তলা বা ইউনিট ক্রয় করে নিতে হবে।  
,
পরবর্তীতে আবার সে তার কাছে বিক্রয় করে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে বিক্রয়ের সময় দলিল করা শর্ত, এবং পরবর্তীতে তার কাছেই যে বিক্রয় করতে হবে,এমন কোনো শর্ত আরোপ করা যাবেনা।
পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে,যে ২য় পক্ষ চাইলে তাহা বিক্রয় করতে পারে,বা আজীবন থাকতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...