(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ব্যাংক লোন হারাম।
কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।
ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই টাকা যে ব্যাবসায় বিনিয়োগ করেছে,এক্ষেত্রে সূদ,লোন এর টাকা পরিশোধ করার পর সেই ব্যাবসা হালাল হবে।
(০২)
ফ্লাট মর্টগেজ বলা হয়ঃ
এককালীন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে কয়েক বছরের জন্য মালিকের কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি বসবাসের জন্য নেয় দ্বিতীয় পক্ষ।
এ নিয়ে দলিল করা হয়। শর্ত থাকে, চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ও গ্যাস বিল প্রদান ছাড়া কোনো অর্থ ফ্ল্যাট ব্যবহারকারীকে দিতে হবে না।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে মালিক এককালীন পাওয়া ওই পুরো অর্থ ব্যবহারকারীকে ফেরত দেবেন। এভাবে মালিক যেমন একসঙ্গে প্রয়োজনীয় অর্থ পান, তেমনি বন্দোবস্ত নেওয়া ব্যক্তি পরিষেবা বিল দেওয়া ছাড়া বিনা ভাড়ায় লম্বা সময় ফ্ল্যাটে বসবাস করার সুযোগ পান। মালিক অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ফ্ল্যাটটি ছাড়েন না। সে ক্ষেত্রে নতুন চুক্তিও করা হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
,
এ পদ্ধতি স্পষ্ট সুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাহা হারাম।
এক্ষেত্রে পন্থা হলোঃ
প্রশ্নে উল্লেখিত চুক্তি বাতিল করে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পদ্ধতি অবলম্বন করবে। অর্থাৎ যত দিন পর্যন্ত ঋণের টাকা শোধ না হয় ঋণদাতা ফ্ল্যাটের উক্ত ইউনিট/তলা টি ইজারা পদ্ধতিতে তা ভোগ করবে এবং তার ন্যায্য ভাড়াও মালিককে আদায় করবে।
এ ক্ষেত্রে ঋণ ও ইজারাচুক্তি দুটি ভিন্ন হতে হবে, দুটি চুক্তিকে মিলিয়ে একটি অপরটির ওপর শর্তযুক্ত হতে পারবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৪৬৫, ইমদাদুল আহকাম ৩/৫১৮)
অথবা বাই বিল ওয়াফা তথা উক্ত টাকার বিনিময়ে কোনো এক তলা বা ইউনিট ক্রয় করে নিতে হবে।
,
পরবর্তীতে আবার সে তার কাছে বিক্রয় করে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে বিক্রয়ের সময় দলিল করা শর্ত, এবং পরবর্তীতে তার কাছেই যে বিক্রয় করতে হবে,এমন কোনো শর্ত আরোপ করা যাবেনা।
পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে,যে ২য় পক্ষ চাইলে তাহা বিক্রয় করতে পারে,বা আজীবন থাকতে পারে।