আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
521 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ।

  প্রশ্ন 1:  যে ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির হক নষ্ট করে তার কি ঈমান থাকে? এবং তার ইবাদত কি কবুল হয়?

প্রশ্ন 2: আমানতদারীতা কি

প্রশ্ন 3: তারাবির চার রাকাতের পর সুবহানাযিল মুলকি পড়া কি বিদয়াত?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বান্দার হক,এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 
যতক্ষন পর্যন্ত তাহা আদায় না করা হবে বা ঐ বান্দা তাকে মাফ না করবে,কোনো আমলেই তাহা মাফ হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ    

عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: العمرۃ إلی العمرۃ کفارۃ لما بینہما الخ۔ (صحیح البخاري رقم: ۱۷۷۳، صحیح مسلم رقم: ۴۳۷)

সারমর্মঃ এক ওমরা থেকে আরেক ওমরাহ মাঝের সমস্ত গুনাহ মোচন কারী,,, 

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে    

(ہذا الحدیث) تدل علی محو جمیع السیئات الصغائر والکبائر غیر حقوق العباد في أرجح الأقوال عند العلماء … أما حقوق العباد ومظالمہم لابد من ردہا إلی أصحابہا۔ (التصویر النبوي للقیم الخلقیۃ والتشریعیۃ / العمرۃ إلی العمرۃ والحج المبرور ۱؍۱۱۹ الشاملۃ)

সারমর্মঃ এই হাদীস সমস্ত ছগীরা কবিরা গুনাহ মাফের ঈঙ্গিত বহন করে,কিন্তু হুকুকুল ইবাদ তথা বান্দার হক ব্যাতিত।
এটা উলামায়ে কেরামদের প্রাধান্য পাওয়া মত।  
,
আরো জানুনঃ 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অবশ্যই তার হক আদায় করে দিতে হবে,বা ক্ষমা নিতে হবে।
নতুবা কিয়ামতের ময়দানে মহান আল্লাহ মাফ করবেননা।
,
তবে এহেন অবস্থায় তার ঈমান চলে যাবেনা। 
তার খাদ্য হালাল হলে ইবাদত কবুল হতে কোনো বাধা নেই,ইনশাআল্লাহ। 
,
(০২)

أَمَانَة ج أَمَانَات [أمن]
[আমানাহ] শব্দের অর্থঃ  
বিশ্বস্ততা,আস্থা,আমানত,নিরাপত্তা,আশ্রয়,
তত্ত্বাবধান,সচিবালয়।
,
আমানতদারীতার সাধারণ অর্থ হলোঃ নিজের উপর অর্পিত দায়-দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা।
কেউ কোনো টাকা ইত্যাদি রাখলে খিয়ানত না করা।
আমানতদারীতার গুরুত্ব অনেক বেশি।  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ

(মুসলমান তারা) যারা আমানতের হেফাজত করে, অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করে। সূরা মুমিনূন ২৩/৮

নবীজী তার অধিকাংশ ভাষণে বলতেন,

لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ

শুনে রাখো! যার ভিতর আমানতদারিতার গুণ নেই, তার ভিতর যেন ঈমানও নেই, যার ভিতর ওয়াদা রক্ষার বালাই নেই, তার ভিতর ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১২৩৮৩

অন্য একটি হাদীসে নবীজী এরশাদ করেন,

آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ

মোনাফেকের আলামত তিনটি, মিথ্যা বলা, আমানতের খেয়ানত করা ও ওয়াদা করে খেলাপ করা। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩

(০৩)
কুরআন ও হাদীসে তারাবিহ নামাজে চার রাকাত পর পর কোনো নির্দিষ্ট দোয়া মুনাজাত নেই।
,
তবে কোনো কোনো বুযুর্গ দোয়া পড়ে থাকেন,সেটি পড়া যাবে।

তবে এটাকে সুন্নত মনে করা,জরুরি মনে করা,  কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করে তাহা পড়া বিদআত। নতুবা এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই।
,
বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...