জবাব
ওদী কাকে বলে?
وَالْوَدْيُ بَوْلٌ غَلِيظٌ وَقِيلَ مَاءٌ يَخْرُجُ بَعْدَ الِاغْتِسَالِ مِنْ الْجِمَاعِ وَبَعْدَ الْبَوْلِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ.
ওদী বলা হয়,গাঢ় প্রস্রাব,কেউ কেউ বলেনঃঐ পানি যা সহবাসের পরে গোপনাঙ্গ ধৌত করা পর বাহির হয় এবং যা প্রস্রাবের পর বাহির হয়।
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে.............
الْمَذْيُ يَنْقُضُ الْوُضُوءَ وَكَذَا الْوَدْيُ وَالْمَنِيُّ إذَا خَرَجَ مِنْ غَيْرِ شَهْوَةٍ
মযি অজুকে ভেঙ্গে দেয় ঠিক তেমনিভাবে ওদী এবং ঐ মনি বা বীর্য যা কামুত্তেজনা বতীত বাহির হয় তাও ওজুকে ভেঙ্গে দেয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া -১/১০)........এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-১৬৮৯
আপনার যদি অধিকাংশ ধারণা থাকে যে,উক্ত তরল পদা নামায বা ইবাদতের পরই বের হয়েছে,তাহলে উক্ত তরল পদার্থ পবিত্রতার কোনো ক্ষতি করবে না।
কেননা ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃ
পূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।
(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি প্রায় নিশ্চিত যে কিছুইবের হয়নি,তাই আপনার অজু হবে।
আপনার যদি নিয়মিত এমন হয়,তাহলে একদিন একটু কষ্ট করে পরীক্ষা করে দেখবেন যে,নামাযের সংকুচিত কোনো একটি ওয়াক্ত যেমন আছরের পূর্ণ ওয়াক্তেই কি এমন সমস্যা হচ্ছে,মিনিট পাঁচেক পরপর যখনই নামায পড়ার চেষ্টা করবেন,তখনই কি এমন হয়,যদি পূর্ণ ওয়াক্ত ব্যাপী এমন হয়ে থাকে,তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।মা'যুরের হুকুম হল,তিনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবারই ওজু করবেন।এবং সে ওয়াক্তের ভিতর এক ওজু দ্বারাই যতইচ্ছা ইবাদত করতে পারবেন।