ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দুধ পানের মুদ্দত বা সময়সীমা সাধারণত দুই বৎসর।দুই বৎসর পর সন্তানকে দুধ পান করানো যাবে না।হ্যা, বিশেষ জরুরতে সর্বোচ্ছ আড়াই বৎসর পর্যন্ত দুধ পান করানো যাবে। আড়াই বৎসর পর যদি কোনো শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে,তাহলে এদ্বারা দুধ সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না।
আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
هُوَ (حَوْلَانِ وَنِصْفٌ عِنْدَهُ وَحَوْلَانِ) فَقَطْ (عِنْدَهُمَا وَهُوَ الْأَصَحُّ) فَتْحٌ وَبِهِ يُفْتَى كَمَا فِي تَصْحِيحِ الْقُدُورِيِّ عَنْ الْعَوْنِ
শিশুর জন্য মায়ের দুধ পানের সর্বোচ্ছ সময়সীমা-ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে আড়াই বৎসর।আর সাহেবাইনের মাযহাব মতে দুই বৎসর।এই দ্বিতীয় মতটাই বিশুদ্ধতম মত।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।আরো বর্ণিত রয়েছে- (আহসানুল ফাতাওয়া-৫/১২৮,ফাতাওয়ায়ে রাহিমিয়্যাহ-৮/২৪৯)
এ সময়সীমা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই শুরু হবে।বাচ্ছা দুধ ছাড়তে না চাইলেও তাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।বরং বাচ্ছাকে দুধের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে খাদ্যর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
দুই বৎসর পর্যন্ত হুরমতে রেযাআত প্রমাণিত হবে না আড়াই বৎসর পর্যন্ত হুরমতে রেযাআত প্রমাণিত হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, সতর্কতামূলক আড়াই বৎসর পর্যন্ত হুরমতে রেযাআত প্রমাণিত হবে।
দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে,
Fatwa : 687-571/D=08/1442
بچہ دوسال کی عمر تک جو کسی عورت کا دودھ پیتا ہے اس سے رضاعت ثابت ہوجاتی ہے مرضعہ (دودھ پلانے والی عورت) کے سب بچے اس کے رضاعی بھائی بہن ہوجاتے ہیں اور خود مرضعہ اس کی رضاعی ماں ہوجاتی ہے۔ امام اعظم ابو حنیفہ رحمہ اللہ کے نزدیک مدت رضاعت ڈھائی سال ہے، لہٰذا ڈھائی سال تک دودھ پینے سے احتیاطاً حرمت کا حکم سمجھنا چاہئے۔ مدت میں ایک قطرہ بھی حلق میں چلا جانے سے حرمت رضاعت ثابت ہوجاتی ہے۔
الرضاع مص من ثدي آدمیة ․․․․․ فی وقت مخصوص وہو حولان ونصف عندہ وحولان فقط عندہما وہو الاصح۔ (الدر مع الرد: 4/393)
কতটুকু দুধ পান করতে হবে?
এক ফোটা দুধ বাচ্ছার খাদ্যনালী দিয়ে ভিতরে পৌছে গেলেই দুধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
"قليل الرضاع وكثيره إذا حصل في مدة الرضاع تعلق به التحريم كذا في الهداية. قال في الينابيع. والقليل مفسر بما يعلم أنه وصل إلى الجوف كذا في السراج الوهاج...يحرم على الرضيع أبواه من الرضاع وأصولهما وفروعهما من النسب والرضاع جميعا حتى أن المرضعة لو ولدت من هذا الرجل أو غيره قبل هذا الإرضاع أو بعده أو أرضعت رضيعا أو ولد لهذا الرجل من غير هذه المرأة قبل هذا الإرضاع أو بعده أو أرضعت امرأة من لبنه رضيعا فالكل إخوة الرضيع وأخواته وأولادهم أولاد إخوته وأخواته وأخو الرجل عمه وأخته عمته وأخو المرضعة خاله وأختها خالته وكذا في الجد والجدة."
(الفتاوى الهندية - کتاب الرضاع،1/ ،342،343،ط:مکتبة حقانية)