আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
969 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
অনেক সময় মসজিদে যেতে একটু দেরি হয়ে যায়। তখন দেখি কিছু রাকাত তারাবি হয়ে গেছে। বা এমন হয় যে আমি ইশা ও ইশার সুন্নাত পড়তে পড়তে কিছু রাকাত তারাবী ছুটে যায়। এই ছুটে যাওয়া তারাবি কি করবো?
বিতিরের পরে পড়া যাবে? নাকি আগে একা একা পড়তে হবে? ইমাম সাহেবের সাথে বিতীরের নামাজে শরিক না হলে কি সমস্যা হবে?
দয়া করে জানাবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তারাবীহ এর সালাত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের উপর সুন্নাতে মুআক্কাদা। এবং জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আ'লাল কিফায়া।
ফেকহে হানাফির নির্ভর্যোগ্য প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে" বর্ণিত আছে,
وَنَفْسُ التَّرَاوِيحِ سُنَّةٌ عَلَى الْأَعْيَانِ عِنْدَنَا كَمَا رَوَى الْحَسَنُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - وَقِيلَ: تُسْتَحَبُّ وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَالْجَمَاعَةُ فِيهَا سُنَّةٌ عَلَى الْكِفَايَةِ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ وَهُوَ الصَّحِيحُ، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.
তারাবীহ সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল আইন।যেমন ইমাম আবু-হানিফা থেকে হাসানের রেওয়াতে বর্ণিত আছে।কেউ কেউ অবশ্য মুস্তাহাব ও বলেছেন।তবে প্রথম অভিমতটাই অধিক গ্রহণযোগ্য।এবং জামাতের সাথে তারাবীহের সালাত আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল কিফায়া। এভাবেই "তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব" নামক কিতাবে বর্ণিত আছে। এবং "মুহিতে সারাখসীতে" বর্ণিত আছে।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া,১/১১৬)

অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ تَرَكَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ كُلُّهُمْ الْجَمَاعَةَ فَقَدْ أَسَاءُوا وَأَثِمُوا، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.
যদি কোনো মসজিদের অধিবাসী সবাই জামাতকে ছেড়ে দেয়,তাহলে তারা গুনাহগার হবে,এভাবেই মুহিতে সারাখসীতে বর্ণিত আছে।

আপনি যেহেতু কয়েকটি সূরা মুখস্থ পড়তে পারেন, তাই ফরয সালাত পড়তে আপনার আপাদত কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।এখন তারাবীহের সালাতে ইমামের পিছনে  তেলাওয়াতকৃত আয়াত আপনি মুখস্থ পারেন না বা তার অর্থ জানেন না।এ জন্য সালাতকে বিসর্জন দিবেন।এর কোনো অর্থই হয় না।বরং তারাবীহের সালাতে আপনি সর্বদা শরিক থাকবেন।কেননা এতে আপনার দু'টি এবাদত হচ্ছে,একটি হচ্ছে সালাত ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে তেলাওয়াত শ্রবণ। সালাতে কোরআন তেলাওয়াত শ্রবণ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﻯﺀَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍْ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧﺼِﺘُﻮﺍْ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।(সূরা আ'রাফ-২০৪)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4047


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সে ব্যাক্তি প্রথমে এশার ফরয এবং দু রাকাত সুন্নত মুআক্কাদা নামায পড়বে, তারপর তারাবির নামাযে যোগ দিবে, 
যেহেতু তার বিশ রাকাত হয়নি তাই সে ইমামের সাথে বিতির পড়বে না। বরং বিশ রাকাত পূর্ণ করে শেষে সে বিতির পড়বে।

এমনটা করার রুখসত কেউ কেউ দিয়ে থাকেন। তবে এটা কখনো উত্তম হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/14583


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 487 views
0 votes
1 answer 308 views
...