আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

জ্বীন বশ করা কি জায়েজ?

আমি সালাত শুরু করার সময় আল্লহু   আকবর তাকবীর দিসি এবং হাত বাধসি কিন্তু মনে হইসে যে তাকবীর ঠিক ভাবে দেয়া হয়নাই।তাই হাত বাধা অবস্তায় ই আবার একবার তাকবীর দিসি মানে ঠিকভাবে তাকবীর বলা হয়নাই এমনটা ভেবে তাকবীর দিসি কিন্তু নামাজ নতুন করে শুরু করেছি এমন নয়। সালাত ফাসিদ হয়ে যাবে এতে?

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,বিবাহ ছাড়া কোনো ইবাদতকারীর ইবাদত প্রকৃতভাবে কবুল হয়না।
(ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন;২/২৩)
হাদীসটি কি সহীহ?এই হাদীসের ব্যাখ্যা কি?

যে রাজমিস্ত্রিরা মাজার নির্মাণ করে তাদের মাজার নির্মাণ করে ইনকাম করা টাকা কি হালাল হবে?

ছোটবেলায় না বুঝে রমজান মাসে হস্তমৈথুন করে ফেলেছি।তখন জানতাম না যে এতে তোজা ভংগ হয়।
কয়টি রোজায় এমন হয়েছে তাও জানিনা।এমতাবস্থায় আমি কিভাবে রোজাগুলো কাজা করবো?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১) জ্বীন বশ করা নাজায়েয নয়। তবে জ্বীনদের মাধ্যমে কোনো নাজায়েয কাজ করানো যাবে না। কুফরী শিরকি কোনো কাজ তাদের মাধ্যমে করানো যাবে না। 

(২) এভাবে প্রথম তাকবীর হয়নি ভেবে দ্বিতীয়বার তাকবির দিয়ে নামায শুরু করলে নামায ফাসিদ হবে না। 

(৩)   আপনার বর্ণিত হাদীসকে ইমাম গাযযালীর উক্ত কিতাবে খুজে পাইনি। তাই আপনার আমদেরক রেফারন্সে টা দিয়ে দিবেন।

(৪) মাজার নির্মাণ করে রাজমিস্ত্রিদের জন্য টাকা ইনকাম করা নাজায়েয হবে না। 

যেমন ফাতাওয়ায়ে শা'মী তে বর্ণিত রয়েছে,

ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ

(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)

যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো প্রকার গোনাহ নেই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)

(৫) https://www.ifatwa.info/2187 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?

প্রতিউত্তরে বলা যায়-

এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-

প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাস/হস্তমৈথুন এর  মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।এবং স্ত্রী সহবাস/হস্তমৈথুন ব্যতিত ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)

মোটকথাঃ 

জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে,তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।এবং একটি কাফ্ফারা ই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে।

ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে। কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/102


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...