নামাজের ভিতর রুকুতে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম) পড়া সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ الأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَأَبُو دَاوُدَ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَزِيدَ الْهُذَلِيِّ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَكَعَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَذَلِكَ أَدْنَاهُ وَإِذَا سَجَدَ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ রুকূ‘তে গিয়ে যেন কমপক্ষে তিনবার বলেঃ ‘‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আযীম’’ এবং সিজদাতে গিয়ে যেন তিনবার বলেঃ ‘‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’’ আর এটাই সর্বনিম্ন পরিমাণ।
তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ রুকূ‘ ও সাজদার তাসবীহ, হাঃ২৬১, আবু দাউদ ৮৮৬.ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ রুকূ‘ ও সাজদার তাসবীহ, হাঃ ৮৯০)।
আরো জানুনঃ
যেহেতু রুকুর তাসবিহ সুন্নাত,তাই কেহ যদি তাহা আদায় না করে,তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সালাত ভেঙ্গে যাবেনা,বরং তাহা আদায় হয়ে যাবে।
(০২)
কেহ যদি নামাজের মধ্যে হাসে,তাহলে এক্ষেত্রে তিন ছুরত।
এক, যদি শুধু দাঁত খুলে,হাসির আওয়াজ একেবারেই না হয়,তাহলে নামাজও ভেঙ্গে যাবেনা।
অযুও ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এটি মাকরুহ।
(আলমগীরী ১/১২.আদ্দুররুল মুখতার ১/১৪৫)
,
দুই, যদি এতটুকু আওয়াজ হয় যে নিজে শুনতে পারে,অথবা একেবারে কাছের মানুষ শুনতে পারে,তাহলে শুধু নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
তিন, যদি এত জোড়ে হাসে,যে অন্যান্য লোকেরা অথবা মজলিসের লোকেরা শুনতে পারে,তাহলে নামাজ এবং অযু উভয়টাই ভেঙ্গে যাবে।
(আলমগীরী ১/১২.আদ্দুররুল মুখতার ১/১৪৫)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مصنف عبد الرزاق الصنعاني (2/ 376):
"عن معمر، عن قتادة، عن أبي العالية الرياحي: أن رجلًا أعمى تردى في بئر والنبي صلى الله عليه وسلم يصلي بأصحابه، فضحك بعض من كان يصلي مع النبي صلى الله عليه وسلم، فأمر النبي صلى الله عليه وسلم: «من ضحك منكم فليعد الصلاة»".
সারমর্মঃ এক অন্ধ ব্যাক্তির কুপে পড়ে যাওয়ার উপক্রম দেখে নামাজে কিছু ছাহাবী হেসেছিলো,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে যারা হেসেছে,তারা যেনো নামাজ আবার আদায় করে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু মুখ থেকে হাসির কোনো শব্দই বের হয়নি,শুধু নাক দিয়ে বাতাস ফেলার মতো আওয়াজ হয়েছে,তাই নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এহেন কাজ অপছন্দনীয়।
আরো জানুনঃ