আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
439 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১/ ফরজ নামাজে সূরা আবাসা এর ৩৪ নং আয়াত
পড়ার সময় ভুলে গিয়ে "মিন আখিহী" এর জায়গায় "মিন" না পড়ে ''ওয়া আখিহি" পড়া হয়েছে।  নামাজে কোন ক্ষতি হয়েছে কি?

২/ রোযা রাখার পর ওযু করতে গিয়ে ভুলে গড়গড়া সহ কুলি করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রবল ধারনা যে গলার ভিতর পানি ঢুকেনি, এমতাবস্থায় রোযার ক্ষতি হবে কি?

 ৩/ সকল ওয়াক্তের সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও গ্বইর মুয়াক্কাদা স্বলাতসমূন্ত ক্লান্তি লাগলে দাঁড়িয়ে আদায়ে কষ্ট হলে
 বসে আদায় করলে গুনাহ্ হবে কি?

৪/ কোন মুসলমান যদি গণকের কাছে যায় ও কিছু জিজ্ঞেস করে আর অপর কোন মুসলমান যদি যে গিয়েছে তার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে গণক কী বলেছে- এই উভয় ব্যক্তির ঈমান থাকবে কী? তাদের পরিণতি কী? হাদিসসহ উল্লেখ করলে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সূরা আবাসা এর ৩৪ নং আয়াত হল, يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ উক্ত আয়াতে মিনকে মাহজুফ তথা উহ্য মানা হবে। এর প্রমাণ হল, আখিহিতে জ্বর দেয়া হয়েছে। সুতরাং অর্থে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। 

(২)ওজুর ধারাবাহিক সুন্নত বর্ণানায় ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখিত রয়েছে- 
(ومنها المضمضة والاستنشاق) والسنة أن يتمضمض ثلاثا أولا ثم يستنشق ثلاثا ويأخذ لكل واحد منهما ماء جديدا في كل مرة وكذا في محيط السرخسي.
وحد المضمضة استيعاب الماء جميع الفم وحد الاستنشاق أن يصل الماء إلى المارن. كذا في الخلاصة.
إن ترك المضمضة والاستنشاق أثم على الصحيح؛ لأنهما من سنن الهدى وتركها يوجب الإساءة بخلاف السنن الزوائد فإن تركها لا يوجب الإساءة هكذا في السراج الوهاج.
ওজুর সুন্নত সমূহের মধ্যে একটি সুন্নত হলো,(১)মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা(২)ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।নতুন পানি দ্বারা প্রথমে তিনবার মাদমাদাহ করা তারপর আবার নতুন পানি দ্বারা তিনবার ইস্তেনশাক্ব করা সুন্নত।বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাদমাদাহ এবং ইস্তেনশাক্ব ছেড়ে দিলে গোনাহ হবে।কেননা এ দু'টো সুন্নতে মু'আক্বাদাহ (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিয়মিত সুন্নত)।এবং ছেড়ে দেওয়া গোনাহকে ওয়াজিব করে।তবে অন্যান্য সুন্নতে যায়েদাহ কে ছেড়ে দিলে কেউ গোনাহগার হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭)

وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة 
ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)

রোযা অবস্থায় কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে।তবে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা এবং ইসতেনশাক্ব তথা নাকে পনি দিয়ে জোড়ে টান দেয়া যাবে না।
(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-২৮৩) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1282

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ভিতরে পানি প্রবেশ করে নাই। তাই অজু ভঙ্গ হবে না। 

(৩)
রুকু সেজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি ফজরের সুন্নাত বসে আদায় করলে হবে না। দাঁড়িয়েই আদায় করবে। বাকি সুন্নাতে মুআক্কাদাগুলোও দাড়িয়ে আদায় করা উচিত। বাকি বসে আদায় করলেও হবে।
কিন্তু এছাড়া বাকি সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদা ও নফল নামায বসে আদায় করতে পারবে। তবে দাঁড়িয়ে রুকু সেজদা করে নামায আদায় করাই উত্তম।
فى الدر المختار: ومنها القيام……. فِي فَرْضٍ) وَمُلْحَقٍ بِهِ كَنَذْرٍ وَسُنَّةِ فَجْرٍ فِي الْأَصَحِّ (لِقَادِرٍ عَلَيْهِ)
وفى رد المحتار: (قَوْلُهُ وَسُنَّةُ فَجْرٍ فِي الْأَصَحِّ) أَمَّا عَنْ الْقَوْلِ بِوُجُوبِهَا فَظَاهِرٌ، وَأَمَّا عَلَى الْقَوْلِ بِسُنِّيَّتِهَا فَمُرَاعَاةً لِلْقَوْلِ بِالْوُجُوبِ. وَنُقِلَ فِي مَرَاقِي الْفَلَاحِ أَنَّ الْأَصَحَّ جَوَازُهَا مِنْ قُعُودٍ ط.
أَقُولُ: لَكِنْ فِي الْحِلْيَةِ عِنْدَ الْكَلَامِ عَلَى صَلَاةِ التَّرَاوِيحِ لَوْ صَلَّى التَّرَاوِيحَ قَاعِدًا بِلَا عُذْرٍ، قِيلَ لَا تَجُوزُ قِيَاسًا عَلَى سُنَّةِ الْفَجْرِ فَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ وَسُنَّةُ الْفَجْرِ لَا تَجُوزُ قَاعِدًا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ بِإِجْمَاعِهِمْ كَمَا هُوَ رِوَايَةُ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَاعِدِ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، مَطْلَبٌ قَدْ يُطْلَقُ الْفَرْضُ عَلَى مَا يُقَابِلُ الرُّكْنَ وَعَلَى مَا لَيْسَ بِرُكْنٍ وَلَا شَرْطٍ، بحث القيام-2/131-132، طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الصلاة، فصل فى صلاة النفل جالسا-402
হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক ব্যক্তির বসে নামায পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়ে সে উত্তম। বসে যে নামায পড়ে, সে দাড়িয়ে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। আর যে ব্যক্তি শুয়ে নামায পড়ে, সে বসে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। [বুখারী, হাদীস নং-১১১৬] (আহলে হক মিডিয়া)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 123 views
...