ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সূরা আবাসা এর ৩৪ নং আয়াত হল, يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ উক্ত আয়াতে মিনকে মাহজুফ তথা উহ্য মানা হবে। এর প্রমাণ হল, আখিহিতে জ্বর দেয়া হয়েছে। সুতরাং অর্থে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না।
(২)ওজুর ধারাবাহিক সুন্নত বর্ণানায় ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখিত রয়েছে-
(ومنها المضمضة والاستنشاق) والسنة أن يتمضمض ثلاثا أولا ثم يستنشق ثلاثا ويأخذ لكل واحد منهما ماء جديدا في كل مرة وكذا في محيط السرخسي.
وحد المضمضة استيعاب الماء جميع الفم وحد الاستنشاق أن يصل الماء إلى المارن. كذا في الخلاصة.
إن ترك المضمضة والاستنشاق أثم على الصحيح؛ لأنهما من سنن الهدى وتركها يوجب الإساءة بخلاف السنن الزوائد فإن تركها لا يوجب الإساءة هكذا في السراج الوهاج.
ওজুর সুন্নত সমূহের মধ্যে একটি সুন্নত হলো,(১)মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা(২)ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।নতুন পানি দ্বারা প্রথমে তিনবার মাদমাদাহ করা তারপর আবার নতুন পানি দ্বারা তিনবার ইস্তেনশাক্ব করা সুন্নত।বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাদমাদাহ এবং ইস্তেনশাক্ব ছেড়ে দিলে গোনাহ হবে।কেননা এ দু'টো সুন্নতে মু'আক্বাদাহ (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিয়মিত সুন্নত)।এবং ছেড়ে দেওয়া গোনাহকে ওয়াজিব করে।তবে অন্যান্য সুন্নতে যায়েদাহ কে ছেড়ে দিলে কেউ গোনাহগার হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭)
وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة
ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)
রোযা অবস্থায় কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে।তবে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা এবং ইসতেনশাক্ব তথা নাকে পনি দিয়ে জোড়ে টান দেয়া যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ভিতরে পানি প্রবেশ করে নাই। তাই অজু ভঙ্গ হবে না।
(৩)
রুকু সেজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি ফজরের সুন্নাত বসে আদায় করলে হবে না। দাঁড়িয়েই আদায় করবে। বাকি সুন্নাতে মুআক্কাদাগুলোও দাড়িয়ে আদায় করা উচিত। বাকি বসে আদায় করলেও হবে।
কিন্তু এছাড়া বাকি সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদা ও নফল নামায বসে আদায় করতে পারবে। তবে দাঁড়িয়ে রুকু সেজদা করে নামায আদায় করাই উত্তম।
فى الدر المختار: ومنها القيام……. فِي فَرْضٍ) وَمُلْحَقٍ بِهِ كَنَذْرٍ وَسُنَّةِ فَجْرٍ فِي الْأَصَحِّ (لِقَادِرٍ عَلَيْهِ)
وفى رد المحتار: (قَوْلُهُ وَسُنَّةُ فَجْرٍ فِي الْأَصَحِّ) أَمَّا عَنْ الْقَوْلِ بِوُجُوبِهَا فَظَاهِرٌ، وَأَمَّا عَلَى الْقَوْلِ بِسُنِّيَّتِهَا فَمُرَاعَاةً لِلْقَوْلِ بِالْوُجُوبِ. وَنُقِلَ فِي مَرَاقِي الْفَلَاحِ أَنَّ الْأَصَحَّ جَوَازُهَا مِنْ قُعُودٍ ط.
أَقُولُ: لَكِنْ فِي الْحِلْيَةِ عِنْدَ الْكَلَامِ عَلَى صَلَاةِ التَّرَاوِيحِ لَوْ صَلَّى التَّرَاوِيحَ قَاعِدًا بِلَا عُذْرٍ، قِيلَ لَا تَجُوزُ قِيَاسًا عَلَى سُنَّةِ الْفَجْرِ فَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ وَسُنَّةُ الْفَجْرِ لَا تَجُوزُ قَاعِدًا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ بِإِجْمَاعِهِمْ كَمَا هُوَ رِوَايَةُ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَاعِدِ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، مَطْلَبٌ قَدْ يُطْلَقُ الْفَرْضُ عَلَى مَا يُقَابِلُ الرُّكْنَ وَعَلَى مَا لَيْسَ بِرُكْنٍ وَلَا شَرْطٍ، بحث القيام-2/131-132، طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الصلاة، فصل فى صلاة النفل جالسا-402
হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক ব্যক্তির বসে নামায পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়ে সে উত্তম। বসে যে নামায পড়ে, সে দাড়িয়ে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। আর যে ব্যক্তি শুয়ে নামায পড়ে, সে বসে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। [বুখারী, হাদীস নং-১১১৬] (আহলে হক মিডিয়া)