ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রোজাকালে ও রোজা ছাড়া, দিবসের প্রথমভাগে অথবা শেষভাগে সবসময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব। দলিল হচ্ছে-
১ - আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاَةٍ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি আমি আমার উম্মতের জন্য কঠিন মনে না করতাম তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।” (সহীহ বুখারী-৮৮৭)
২- আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
عائشة رضي الله عنها قالت : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " السواك مطهرة للفم ، مرضاة للرب - علقه البخاري في صحيحه (2/274) ووصله أحمد (6/47) والنسائي (1/50) وإسناده صحيح (الإرواء 1/105)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “মিসওয়াক হচ্ছে- মুখ পবিত্রকারী ও রব্বকে সন্তুষ্টকারী”
এ হাদিসগুলোত সবসময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে দলিল পাওয়া যায়। এ বিধান থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজাদারকে বাদ দেননি। বরং হাদিসগুলো রোজাদার ও রোজাদার নয় এমন সকলকে শামিল করে।
রোজা রেখে সকাল বেলা কেউ যদি দাঁত ব্রাশ করতে চান, তাহলে তার জন্য জায়েজ রয়েছে। সেখানে ব্রাশ এবং পেস্ট দুটোই ব্যবহার করা জায়েজ রয়েছে। এতে সিয়াম নষ্ট হবে না বা সিয়ামের কোনো ক্ষতি হবে না। এটা অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের তাহকিক। আর এ যুগের যারা গবেষক পর্যায়ের আলেম রয়েছেন তাঁদের সবার বক্তব্য হলো—এতে সিয়াম নষ্ট হবে না। ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোযা অবস্থায় মিসওয়াক করা যাবে। এবং ব্রাশও করা যাবে। তবে পেষ্ট ব্যবহার করা মকরুহ। যদি কেউ পেস্ট ব্যবহার করে, এবং পেস্টের কিছু অংশ পেঠের ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।
রোজার কারণে রোজাদারের মুখে সৃষ্ট গন্ধকে অপছন্দ করা উচিত নয়। কারণ এটি আল্লাহ তাআলার একটি পছন্দনীয় আনুগত্য পালনের আলামত। হাদিসে রয়েছে-
( خلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك )
“রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুবাসের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়।”