বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
উনার ডিপি এস কত টাকা আছে সেটা আগে জানতে হবে।যদি নেসাব পরিমাণ থাকে তাহলে তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন না।কিন্তু যদি নেসাব পরিমাণ না থাকে, তাহলে তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন।
উনার বাসা নিজস্ব থাকলেও উনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন।কেননা উনি প্রয়োজনগ্রস্থ।
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 699
ডিপিএস যদি নেসাব পরিমাণ হয়,তাহলে উনার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করে একটি হিলা বা সুক্ষ্ম রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া যেতে পারে।উনি হয়তো এই ডিপি এসকে উনার নাবালক সন্তাদের নামে করে দেবেন এবং সেই ডিপিএস থেকে নিজের সম্পূর্ণ অধিকার প্রত্যাহার করে নেবেন।এবং নাবালক সন্তানদের উকিল হিসেবে ডিপিএসের দেখাশুনা করবেন,সন্তানদের প্রয়োজনে সেটাকে খরচ করবেন।
(স্বরণ রাখা ভালো যে,ডিপিএস ইসলামে হারাম।এটা সুদ।তবে প্রয়োজন বিবেচনায় কখনো এই হুকুমে শীতিলতা আসে।এ বিধান শুধুমাত্র আপনি বা আপনার মত পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্যে।সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না।-জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)
তখন ঐ মহিলার আর নেসাব পরিমাণ মাল থাকবে না।সুতরাং তখন তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন।অথবা তিনি নাবালক বাচ্ছাদের পক্ষ্য থেকে যাকাত গ্রহণ করে শুধুমাত্র বাচ্ছাদের স্বার্থেই সেটাকে ব্যবহার করবেন।নিজের কোনো প্রয়োজনে সেটাকে ব্যবহার করবেন না।যাকাত কাউকে বলে দিতে হয় না।বরং দাতার নিয়তে থাকলেই সেটা যথেষ্ট হয়ে যায়।