ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এ যাবৎকাল আপনি অনেক কষ্ট করে নামায ইবাদত করেছন।আল্লাহ আপনার ইবাদতকে কবুল করুক।আমীন।
আপনি এক কাজ করবেন।
একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবেন যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক তরল পদার্থ নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।যদি আপনি তরল পদার্থ নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।এভাবে যে,যখনই মনে তরল পদার্থ নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন আপনি টিস্যু বা কাপড় ইত্যাদিকে দেখবেন যে,সত্যিই কি তরল পদার্থ নির্গত হচ্ছে।যদি নির্গত হয়,তাহলে আপনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবেন।
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে, স্রাব উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পিছনের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে অজু ভেঙ্গে যাবে।