ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়, যাকে লাহলে খাফী বলা হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানোর প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন। সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে, সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে, এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।প্রথমবার উচ্ছারিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না। ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না? ইমামের কিরাতে লাহনে জলী হলে ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদিদের নামাযও ভেঙে যাবে।এবং আবার প্রথম থেকে নামায শুরু করতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোথাও কোনো ফাসিক ইমাম নির্ধারিত হয়ে গেলে এবং অন্য কোনো মসজিদ পাশে না থাকলে তাহলে সেখানেই নামায পড়ে নেয়া।বা ঐ ফাসিক ইমামের পিছনে নামায পড়াকে অস্বীকার করলে যদি ফিৎনা ফাসাদের আশংকা হয়,তাহলে ঐ ইমামের পিছনে নামায পড়ে নেয়া।অর্থাৎ জামাতকে ত্যাগ করার সুযোগ নেই।এবং ফিৎনার বাড়ানোর সুযোগ নেই।কিন্তু যেহেতু ঐ ব্যক্তি ফাসিক বা গোনাহগার। তাই ব্যক্তিগতভাবে পরবর্তিতে সেই নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়া উচিৎ। কেননা যেই দলের ইমাম ফাসিক সেই দলের ইবাদত কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে? সেই প্রশ্নটা থেকেই যায়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1872