আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
481 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব দ্বীনের ব্যাপারে অনেক বেশি উদাসিন, এছাড়া সালাত খুব দ্রুত পড়ান।ব্যক্তিজীবনে উনি অনেক চাতুরতার আশ্রয় নেন।তিলাওয়াত এও ভুল রয়েছে।
সেক্ষেত্র, উনার পিছনে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে কি?

আর অন্য মসজিদ বাসা থেকে তুলনামুলক ভাবে দূরে হওয়ার পরেও, সেখানে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (670,200 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়, যাকে লাহলে খাফী বলা হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানোর প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন। সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে, সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে, এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।প্রথমবার উচ্ছারিত হওয়ার পর  দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না। ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না? ইমামের কিরাতে লাহনে জলী হলে ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদিদের নামাযও ভেঙে যাবে।এবং আবার প্রথম থেকে নামায শুরু করতে হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোথাও কোনো ফাসিক ইমাম নির্ধারিত হয়ে গেলে এবং অন্য কোনো মসজিদ পাশে না থাকলে তাহলে সেখানেই নামায পড়ে নেয়া।বা ঐ ফাসিক ইমামের পিছনে নামায পড়াকে অস্বীকার করলে যদি ফিৎনা ফাসাদের আশংকা হয়,তাহলে ঐ ইমামের পিছনে নামায পড়ে নেয়া।অর্থাৎ জামাতকে ত্যাগ করার সুযোগ নেই।এবং ফিৎনার বাড়ানোর সুযোগ নেই।কিন্তু যেহেতু ঐ ব্যক্তি ফাসিক বা গোনাহগার। তাই ব্যক্তিগতভাবে পরবর্তিতে সেই নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়া উচিৎ। কেননা যেই দলের ইমাম ফাসিক সেই দলের ইবাদত কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে? সেই প্রশ্নটা  থেকেই যায়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1872


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 230 views
0 votes
1 answer 201 views
...