আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
370 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম।।।

১-আমাদের মুদী দোকান।।তো রোজার দিনে পন্য বিক্রি করতে কি কোন সমস্যা আছে।।স্বাভাবিক ভাবে এমন পন্যই বেশি যে গুলো বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।কিছু পন্য বাচ্চারা কিনে।।কিন্তু যদি এমন হয় যে কেউ খাবার কিনলো এবং খেলো।।এতে কি আমরা গুনাহগার হবো।।কেউ রোজা না রেখে আমাদের দোকান থেকে কিনে খেলে?

২-আমরা বাকীতে পন্য বিক্রি করি।অনেকে মাসিকভাবে বাকি খায়।তো যেই পন্যের দাম নির্ধারিত ওইগুলা বাকিতেও একই দামে বিক্রি করি।।কিন্তু কিছু পন্য আছে যেগুলো নগতও একটু কম বেশি বিক্রি করি।।সেক্ষেত্রে কেউ বাকি নিলে জিজ্ঞেস করে দাম কত তখন একটা নির্ধারিত দাম বলি ওনারা তখন বাকিতে নেয়।বলায় হয় না যে নগত নিলে কিছু কম রাখতাম বাকিতে এত।।এইটা বলা সম্ভব ও হয় না।এইভাবে পন্য বিক্রি করা কি জায়েজ এবং বিক্রির টাকা কি হালাল হবে?

৩-ইন্ডিয়ান কিছু চালের বস্তা আছে যেখানে ওদের ধর্মীয় কথা বা ছবি থেকে বস্তার উপর।।যথাসম্ভব এনে বস্তা উলটিয়ে বা ঢেকে রাখি।।এ চাল গুলো বিক্রিতে কি কোন সমস্যা আছে।

একই দামে একই মানের দেশী চাল পাওয়া যায় না।।এজন্য ইন্ডিয়ান গুলা কিনতে হয়

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোনাহের কাজে সরাসরি সাহায্য করা হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒِﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺈِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ -
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
(সূরা- মায়েদা-২)

(১) 
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
পণ্য ক্রয়ের পর যেভাবে একজন মানুষ এখনও খেতে পারে, আবার ইফাতারের সময়েও খেতে পারে, তাই যে জিনিষ সম্পর্কে উভয় জিনিষ তথা রোযা না ভেঙ্গে ব্যবহার ও রোযা ভেঙ্গে ব্যবহার , উভয়ের সম্ভাবনা থাকবে, সেই জিনিষকে বিক্রি করা যাবে, জায়েয রয়েছে। আর খাবারকে প্রস্তুত মূলক রেডি করে ক্রয় করা যা বর্তমানে আহারযোগ্য বুঝায়, সেই রকম খাবার বিক্রির কোনো অনুমোদন নাই। 

মোট কথা, যে পণ্য দ্বারা রোযা ভঙ্গ করা হবে, বা রোযা না রেখে তাৎক্ষণিক খেয়ে ফেলা হবে, এবং ক্রেতাও এমন যার ব্যাপারে আস্থা রাখা যায় না, তাহলে মানুষের নিকট এমন পণ্য বিক্রয় করা জায়েয হবে না। 

(২)
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাকিতে বেশ মূল্যে পণ্য বিক্রি করা জায়েয রয়েছে। তাছাড়া উভয়ের সন্তুষ্টিতে যে কোনো মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ। 

(৩)জ্বী , এই বস্তাগুলির ক্রয় বিক্রয়ে কোনো বিধি-নিষেধ নাই। তবে যথাসম্ভব কোনো কিছূ দ্বারা ঢেকে রাখাই উচিৎ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...