আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
সাদাস্রাব এর মত স্রাব  কিন্তু লাল রঙের হয়েছে।সাধারণত হায়েজ শুরু হওয়ার আগে এমনটা হত।কিন্ত আর bleeding হয়নি এমনকি পরদিন আবার সাদাস্রাব হতে থাকে। তখন নামাজ পরি আর সহবাস করে ফেলি।৩য় দিন সকালে আবার স্রাবের মত কিন্তু লাল রঙের বের হয়(হায়েজের শুরুর রক্তের মত)। আবার নামাজ বাদ রাখি।কিন্তু পরে আর তেমন কিছুই হয় নি। আবারও মনে হচ্ছে সাদাস্রাব হবে সকাল থেকেই (মানে bleeding হওয়া তো শুরু হয়নি মনেও হচ্ছে না যে হবে)এখন কালতো রোজা। আমি কি করব?

আমি কি রোজা রাখব?কিভাবে নামাজ রোজার হিসেব করব?আর ২য় বাবু হওয়ার পর হায়েজ এ অনেক অনিয়ম হয়। এর আগে এমন লাল রঙের স্রাব একদিন হয়ে পরের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থা গুলো তে কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (566,040 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা ৩ দিন আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
,
এ তিন দিন থেকে ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ১ম আর ৩য় দিন লাল রং এর স্রাব বের হয়েছে,মাঝের দিন সাদা স্রাব বের হয়েছে,৪র্থ দিন সাদা স্রাব বের হওয়ার আশংকাও করছেন আপনি।
,
এখন মাঝের দিন যে সাদা স্রাব বের হয়েছিলো,এটাকি স্পষ্ট সাদা কালারের ছিলো?
নাকি স্পষ্ট সাদা কালারের নয়,বরং অন্য কোনো কালারের হালকা মিশ্রণ ছিলো?
,
যদি সেদিনের স্রাব স্পষ্ট  সাদা কালারের হয়ে থাকে,তাহলে হায়েজের সর্বনিম্ন সময়সীমা ৩ দিন না হওয়ার কারনে সেদিন গুলোকে হায়েজ ধরা যাবেনা,বরং ইস্তেহাজা ধরতে হবে।
প্রতি ওয়াক্তে অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে,রোযাও রাখতে হবে।
,
আর যদি মাঝের দিনের স্রাব স্পষ্ট সাদা কালারের না হয়,বরং তাতে কিছুটা হলেও অন্য কোনো কালারের হালকা মিশ্রণ থাকে,তাহলে আপনি এই দিন গুলোকে হায়েজ ধরবেন।
নামাজ আদায় করতে হবেনা।
যদি এহেন অবস্থায় রোযা আসে,তাহলে রোযা আদায় না করে পরবর্তীতে কাজা আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 214 views
0 votes
1 answer 160 views
...