রোযা মহান আল্লাহ তায়ালার অন্যান্য ফরজ আমলের বিপরিত।
এর মধ্যে এই গুন আছে যে যতগুলো ইবাদত আছে,সেটি কোনো না কোনো ভাবে মানুষের দৃষ্টিতে এসেই যায়,মানুষের সামনে এসে যায়।
অথচ রোযাই এমন এক ইবাদত,যার জ্ঞ্যান আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত শুধু রোযাদারেরই হয়।
অন্য কেহ তাহা জানতে পারেনা।
,
কেননা বদ্ধ ঘরের ভিতর কেহ চাইলেই পানি/খাবার খেতে পারবে,যেটি একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেহই দেখতে পারবেনা।
সুতরাং রোযায় কোনো রিয়া তথা লোক দেখানোর বিষয় নেই।
,
এই জন্যই হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصِّيَامُ جُنَّةٌ، فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَجْهَلْ، وَإِنِ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ. مَرَّتَيْنِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ تَعَالَى مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ، يَتْرُكُ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي، الصِّيَامُ لِي، وَأَنَا أَجْزِي بِهِ، وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا ".
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তাঁর সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সাওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুন।
(বুখারী ১৭৭৩)
★শুধুমাত্র লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করে থাকলে,সেই ইবাদতকে রিয়া বলা হয়।তবে যদি কেউ লোক দেখানোর সাথে সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকেও উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে,তাহলে সেটা রিয়া হবে না।
রিয়া থেকে বাঁচার আমল জানুনঃ
★কেহ যদি রোযা রেখে লোক দেখানোর মতো অনেক কিছুই করে,সেটি রোযা রাখার প্রতি জনগনকে দাওয়াত দেওয়া উদ্দেশ্য।
যদি নিজের আমলকে মানুষের সামনে প্রকাশ করা তার উদ্দেশ্য হয়েও থাকে (যেটি তার মনের বিষয়, তিনি আর আল্লাহ ছাড়া তাহা কেহই জানেন না)
তারপরেও রোযা যেহেতু এমন ইবাদত যে সেটি মানুষ কেবল মাত্র লোক দেখানোর জন্যই কেহ করেনা,বরং যদি কেহ রিয়ার উদ্দেশ্য নিয়েও থাকে,তারপরেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যও থাকে,তাই এটির দ্বারা আমলের কোনো সমস্যা হবেনা।