ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাম কা’সানি রাহ লিখেন,
إنَّ التَّطَوُّعَ بِالْأَرْبَعِ قَبْلَ الْعِشَاءِ حَسَنٌ؛ لِأَنَّ التَّطَوُّعَ بِهَا لَمْ يَثْبُتْ أَنَّهُ مِنْ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ، وَلَوْ فَعَلَ ذَلِكَ فَحَسَنٌ؛ لِأَنَّ الْعِشَاءَ نَظِيرُ الظُّهْرِ فِي أَنَّهُ يَجُوزُ التَّطَوُّعُ قَبْلَهَا وَبَعْدَهَا،
এশার পূর্বে চার রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম।এ চার রাকাত নামায হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।তবে যদি কেউ পড়ে নেয়,তাহলে উত্তম কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।কেননা এ'শা জোহরের মতই। তাই যেভাবে জোহরের পূর্বে চার রাকাত পড়া হয়,ঠিক তেমনি এশার পূর্বেও চার রাকাত পড়া যাবে।(বাদায়ে সানায়ে-১/২৮৫)
সুন্নত দুই প্রকার।যথাঃ-(১) সুন্নতে মু'আক্কাদা (২) সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা।
(১)সুন্নতে মু'আক্কাদাঃ
যা রাসূলুল্লাহ সাঃ নিয়মিত পড়েছেন ও নিয়মিত পড়ার নির্দেশ উম্মতকে দিয়েছেন। সুন্নতে মু'আক্বাদা নামায সর্বমোট ১২ রা'কাত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4516
সুন্নতে মু'আক্বাদা তরক করলে গোনাহ
সুন্নাতে মু'আক্কাদা সম্পর্কে আল্লামা জুরজানী রাহ বলেনঃ
ﻭﺣﻜﻤﻬﺎ ﻛﺎﻟﻮﺍﺟﺐ -— ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﻻ ﻳﻌﺎﻗﺐ - ( ﺍﻟﺘﻌﺮﻳﻔﺎﺕ ﻟﻠﺠﺮﺟﺎﻧﻰ 138-
সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।
ফরজ নামাযের আগে পরের সুন্নতে মুআক্কাদার অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। এ কারণেই ফুক্বাহায়ে কেরাম লিখেন যে,
ﺭﺟﻞ ﺗﺮﻙ ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻥ ﻟﻢ ﻳﺮ ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺣﻘﺎ ﻓﻘﺪ ﻛﻔﺮ، ﻷﻧﻪ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﺍﺳﺘﺨﻔﺎﻓﺎ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ - 2/492 ، ﺑﺪﺍﺋﻊ ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ - 1/644
যদি কেউ সুন্নতকে হক মনে না করে এটাকে ছেড়ে দেয়, তাহলে এ কর্ম তাকে কুফরী পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
ﻭﺍﻥ ﺭﺁﻫﺎ ﺣﻘﺎ ﻓﺎﻟﺼﺤﻴﺢ ﺃﻧﻪ ﻳﺄﺛﻢ، ﻷﻧﻪ ﺟﺎﺀ ﺍﻟﻮﻋﻴﺪ ﺑﺎﻟﺘﺮﻙ، ﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﻣﺤﻴﻂ ﺍﻟﺴﺮﺧﺴﻰ، ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ - 1/112
তবে কেউ যদি সুন্নতকে সহীহতো মনে করে, কিন্তু অলসতা করে ছেড়ে দেয়। তাহলে সে গোনাহগার হবে।
(২)
সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদাঃ
যা রাসূলুল্লাহ সাঃ নিয়মিত করেননি।সুতরাং এ সুন্নতকে তরক করলে গোনাহ হবে না।