ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে আয়-ব্যয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন বলা হয় আয় বুঝে ব্যয় কর। আয়ের ক্ষেত্রে বৈধভাবে আয়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। কিন্তু ব্যয়ের ব্যাপারে একটা সীমারেখা রয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃপণতা যেমন দূষণীয় তেমনি অপব্যয় এবং অপচয় দূষণীয়। আরবিতে অপচয়কে বলা হয় ইসরাফ আর অপব্যয়কে বলা হয় তাবজির। শরিয়তের পরিভাষায় বৈধ কাজে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করাকে ইসরাফ বা অপচয় বলে। আর অবৈধ কাজে ব্যয় করাকে তাবজির বা অপব্যয় বলে। ইসলামিক শরিয়তে এ দুটি বিষয়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আত্দীয়স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কর না। নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনি ইসরাইল : ২৬)। অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না। বরং তারা উভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে (সূরা ফুরকান : ৬৭) মহান আল্লাহতায়ালা আরও বলেন- হে বনি আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও। খাও ও পান কর এবং অপচয় কর না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ : ৩১) অপচয় ও অপব্যয় সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে, হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কারও ঘরে একটি বিছানা তার জন্য, অপরটি তার স্ত্রীর জন্য, তৃতীয়টি তার মেহমানদের জন্য এবং চতুর্থটি শয়তানের জন্য। (সহিহ মুসলিম) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত একদা নবী করিম (সা.) হজরত সা'দ (রা.)-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। রাসূল (সা.) বললেন, হে সা'দ এই অপচয় কেন? সা'দ (রা.) বললেন, অজুর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি প্রবহমান নদীর তীরেই থাক না কেন। (ইবনে মাজাহ) আমাদের প্রত্যেকের উচিত অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকা। আল্লাহর কাছে এ কামনা আল্লাহ যেন অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকার তৌফিক দেন। আমিন! ছুম্মা আমিন।
আপনি অনেকগুলি প্রশ্ন করেছেন, আমরা ধারাবাহিক আপনার সবগুলি প্রশে্নর উত্তর দিচ্ছি, হয়তো কিছুটা সময় লাগবে।