আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
১. গোসলের সময় কাপড় না পরলে কি গোনাহ হবে যদি বন্ধ বার্থরুম হয়?

২. গোসলের জন্য কতখানি পানি ব্যবহার করলে তা অপচয় হবে না?
৩. বার্থরুম পরিস্কার রাখতেতো অনেক পানি  দিতে হয় এতে কি পানির অপচয় হয়?

৪.ভাত খাইতে খাইতে যদি পড়ে যায় কিছু ভাত ওইটা ফেলে।দিলে।কি পাপ হবে?

 ৫. নিজের বাবা ভাই এদের সাথে কি মেয়েরা বাইকে উঠতে পারবে?

৬.কারো বাড়ি থেকে কিছু খাইতে দিলে যদি এমন হয় ওইটা খাইতে যদি রুচি না হয় কিংবা স্বাদ না লাগে ফেলে দিলে পাপ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

মানুষের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে আয়-ব্যয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন বলা হয় আয় বুঝে ব্যয় কর। আয়ের ক্ষেত্রে বৈধভাবে আয়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। কিন্তু ব্যয়ের ব্যাপারে একটা সীমারেখা রয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃপণতা যেমন দূষণীয় তেমনি অপব্যয় এবং অপচয় দূষণীয়। আরবিতে অপচয়কে বলা হয় ইসরাফ আর অপব্যয়কে বলা হয় তাবজির। শরিয়তের পরিভাষায় বৈধ কাজে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করাকে ইসরাফ বা অপচয় বলে। আর অবৈধ কাজে ব্যয় করাকে তাবজির বা অপব্যয় বলে। ইসলামিক শরিয়তে এ দুটি বিষয়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আত্দীয়স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কর না। নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনি ইসরাইল : ২৬)। অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না। বরং তারা উভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে (সূরা ফুরকান : ৬৭) মহান আল্লাহতায়ালা আরও বলেন- হে বনি আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও। খাও ও পান কর এবং অপচয় কর না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ : ৩১) অপচয় ও অপব্যয় সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে, হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কারও ঘরে একটি বিছানা তার জন্য, অপরটি তার স্ত্রীর জন্য, তৃতীয়টি তার মেহমানদের জন্য এবং চতুর্থটি শয়তানের জন্য। (সহিহ মুসলিম) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত একদা নবী করিম (সা.) হজরত সা'দ (রা.)-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। রাসূল (সা.) বললেন, হে সা'দ এই অপচয় কেন? সা'দ (রা.) বললেন, অজুর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি প্রবহমান নদীর তীরেই থাক না কেন। (ইবনে মাজাহ) আমাদের প্রত্যেকের উচিত অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকা। আল্লাহর কাছে এ কামনা আল্লাহ যেন অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকার তৌফিক দেন। আমিন! ছুম্মা আমিন।

 
আপনি অনেকগুলি প্রশ্ন করেছেন, আমরা ধারাবাহিক আপনার সবগুলি প্রশে্নর উত্তর দিচ্ছি, হয়তো কিছুটা সময় লাগবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...