আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
428 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
এগুলোর উত্তর আমার জানা দরকার।
১. ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর সাথে শরীক স্থির করা, আল্লাহকে গালি দেওয়া, আল্লাহকে নিয়ে অশ্লীল কিছু চিন্তা করার সাথে সাথে তওবা করলে? বারবার একই কাজ করতে থাকলে অর্থাৎ বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর সাথে শরীক স্থির করা,আল্লাহকে গালি দেওয়া, আল্লাহকে নিয়ে অশ্লীল কিছু চিন্তা করার সাথে সাথে তওবা করলে কি ঈমান থাকবে?
২. রাসূল (সা) কে ইচ্ছাকৃতভাবে মনে মনে গালি দিলে কি ঈমান থাকবে?
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূল (সা) কে নিয়ে  মনে মনে অশ্লীল চিন্তা করলে কি ঈমান থাকবে?
৪. ইচ্ছাকৃতভাবে সাহাবীদের নিয়ে মনে মনে অশ্লীল চিন্তা করলে কি ঈমান চলে যায়?
৫. ইচ্ছাকৃতভাবে সাহাবীদের মনে মনে গালি দিলে কি ঈমান চলে যায়?
৬. আল্লাহর ওলীকে কেউ মনে মনে গালি দিলে কি তার ঈমান চলে যাবে?
৭. আল্লাহর ওলীকে নিয়ে মনে মনে অশ্লীল চিন্তা করলে কি ঈমান চলে যাবে?
৮. কোনো পীর কে মনে মনে গালি দিলে কি তার ঈমান চলে যাবে?
৯. কোনো পীর কে নিয়ে অশ্লীল চিন্তা করলে কি ঈমান চলে যাবে?

আল্লাহ আপনার এ কষ্টের উত্তম প্রতিদান দিক।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি এ প্রশ্নটি আরো অনেকবার করেছেন, আমরা এখনও তাই বলবো, যা ইতিপূর্বে বলে এসেছি, সুতরাং আপনার আগের উত্তরগুলো কষ্ট করে দেখে নিন। তাছাড়া এগুলো হল, আকিদা গত মাসআলা, যা বিজ্ঞ কোনো আলেমের কাছে সরাসরি জিজ্ঞাসা করাই উত্তম। বিশেষ করে আকিদা গত মাসআলা নিয়ে চিন্তা করতে রাসূলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন। 

যাই হোক! আল্লাহ কে নিয়ে চিন্তা ফিকির না করতে বলা হয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عبد الله بن سلام -رضي الله عنه- قال: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ اللهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:" فِيمَ تَتَفَكَّرُون " ، قَالُوا: نَتَفَكَّرُ فِي اللهِ قَالَ:" لَا تُفَكِّرُوا فِي اللهِ ، وَتَفَكَّرُوا فِي خَلْقِ اللهِ
সারমর্মঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।
(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬)
(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)

عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো।আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭,তাবারানি-১২১১১)

আরো বর্ণিত রয়েছে,

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
أخرجه أبو نعيم في "حلية الأولياء" (6/66) ، وأبو القاسم التميمي في "الحجة في بيان المحجة" ، وقوام السنة في "الترغيب والترهيب" (673) ، جميعا من طريق عبد الجليل بن عطية القيسي ، قال ثنا شهر بن حوشب ، عن عبد الله بن سلام -رضي الله عنه- قال: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ اللهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:" فِيمَ تَتَفَكَّرُون " ، قَالُوا: نَتَفَكَّرُ فِي اللهِ قَالَ:" لَا تُفَكِّرُوا فِي اللهِ ، وَتَفَكَّرُوا فِي خَلْقِ اللهِ ؛ فَإِنَّ رَبَّنَا خَلَقَ مَلَكًا قَدَمَاهُ فِي الْأَرْضِ السَّابِعَةِ السُّفْلَى ، وَرَأْسُهُ قَدْ جَاوَزَ السَّمَاءَ الْعُلْيَا، مَا بَيْنَ قَدَمَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَمَا بَيْنَ كَعْبَيْهِ إِلَى أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَالْخَالِقُ أَعْظَمُ مِنَ الْمَخْلُوقِ» .
সারমর্মঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)

অনেক বড় বড় মানুষ আকিদা নিয়ে চিন্তা করে গোমরাহ হয়েছেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...