বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
বিভিন্ন প্রকার ঔষধকে গরম পানির সাথে মিশিয়ে নাক,মূখে ভাপ নেয়া হয়।এ পদ্ধতিটা অনেক পুরাতন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
প্রশ্ন হচ্ছে এমন পদ্ধতিতেও কি রোযা নষ্ট হবে না ?
প্রতিউত্তরে বলা হবে যে,
ঔষধ মিশ্রিত পানি দ্বারা ভাপ নিলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।এবং এ ফাসিদ হওয়ার বিধানটা আমরা দু'টি কারণেই আরোপ করে থাকি-
(১)প্রথমত, এই ভাপকে তখন ঔষধের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ধারণা করে তাকে ধুওয়ার হুকুম প্রদাণ করা হয়েছিল।সুতরাং ধুওয়া যেভাবে রোযাকে ফাসিদ করে,ঠিকসেভাবে ভাপ নিলেও রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২)
দ্বিতীয়ত, ভাপের মধ্যে পানির অস্থিত্ব রয়েছে।ভাষ্প আকারে সেটা ভিতরে যাওয়ার পর তা পানিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।আর ভিতরে পানি চলে গেলে রোযা ফাসিদ হয়ে যায়।
যেমন গ্রহণযোগ্য ফেকহী কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
أنه من أدخل بصنعه دخانا حلقه بأي صورة كان الإدخال فسد صومه سواء كان دخان عنبرا أو عودا أو غيرهما حتى من تبخر ببخور فآواه إلى نفسه واشتم دخانه ذاكرا لصومه أفطر لإمكان التحرز عن إدخال المفطر جوفه ودماغه
যদি কেউ তার গলার ভিতরে দুয়া কে প্রবেশ করিয়ে নেয়,তাহলে তার রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।প্রবেশ করানো যেকোনোভাবেই হোক না কেন? চায় সে ধুয়া আম্বরের হোক বা উদ কাঠের হোক অথবা অন্য কিছুর হোক।এমনকি যদি কেউ রোযা স্বরণ থাকাবস্থায় সুগন্ধি কাঠ জ্বালিয়ে নিজের নাকের কাছে নিয়ে এসে সু-গ্রাণকে গ্রহণ করে,তাহলে তার রোযাও ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা এত্থেকে বেঁচে থাকা তার জন্য সম্ভবপর ছিলো।(হাশিয়াতুত তাহতাবী আ'লা মারাক্বিল ফালাহ-১/২৪৫)
او دخل مطر حلقه او ثلج،قال الشامي: فيفسد في الصحيح-
যদি হলক্ব তথা গলার ভিতরে বৃষ্টি বা বরফ ঢুকে যায়,তাহলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।(রদ্দুল মুহতার-৩/৩৭৮)
আরো বর্ণিত রয়েছে-
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৩৯৩)
(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৬/৩৮৬)
আল্লাহ-ই ভালো আছেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.