প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ শুরু হওয়ার দিন থেকে নিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত হায়েজ বলেই গন্য হবে।
১০ দিনের পর থেকে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরে নিতে হবে।
এতে নামাজ রোযা আদায় করতেই হবে।
সেক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্তের নামাজের জন্য একবার অযু করলে সেই অযুর দ্বারা ঐ ওয়াক্তের ভিতর ফরজ নফল ইত্যাদি নামাজ কুরআন তেলাওয়াত সবই করতে পারবে।
ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে পুনরায় অযু করতে হবে।
,
ইস্তেহাজা যুক্ত মহিলার বিধান জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتَفْتَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَقَالَ " إِنَّ ذَلِكِ عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ صَلِّي " . فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ .
কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন উম্মে হাবীবা বিনতে জাহশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফতওয়া চাইলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ইস্তিহাযা হয়। তিনি বললেন, এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব তুমি গোসল কর এবং সালাত আদায় কর। এরপর তিনি প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করতেন।
(নাসায়ী ৩৫২)
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - وَهُوَ ابْنُ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ - قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ - عَنْ أَبِي بَكْرٍ، - وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ - عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ الَّتِي كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَأَنَّهَا اسْتُحِيضَتْ لاَ تَطْهُرُ فَذُكِرَ شَأْنُهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيْسَتْ بِالْحِيضَةِ وَلَكِنَّهَا رَكْضَةٌ مِنَ الرَّحِمِ لِتَنْظُرْ قَدْرَ قُرْئِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ لَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ ثُمَّ تَنْظُرْ مَا بَعْدَ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ " .
রবী ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা বিনত জাহশ (রাঃ) ইস্তিহাযার আক্রান্ত ছিলেন। পবিত্র হতেন না। তার ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করা হল। তিনি বললেনঃ তা হায়য নয়, বরং জরায়ুর আঘাতজনিত একটি রোগ। সে লক্ষ্য রাখবে ইতিপূর্বে যতদিন তার হায়য থাকত ততদিন সে সালাত ছেড়ে দেবে। তারপর তার পরবর্তী অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখবে। পরে সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে।
(নাসায়ী ৩৫৬)
أَخْبَرَنَا أَبُو مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ ابْنَةَ جَحْشٍ، كَانَتْ تُسْتَحَاضُ سَبْعَ سِنِينَ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ إِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ " . فَأَمَرَهَا أَنْ تَتْرُكَ الصَّلاَةَ قَدْرَ أَقْرَائِهَا وَحِيضَتِهَا وَتَغْتَسِلَ وَتُصَلِّيَ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ .
মূসা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জাহশের কন্যা সাত বছর যাবত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হায়য নয়, বরং এটা শিরার রক্ত এবং তাকে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি হায়যের সমপরিমাণ সময়ে সালাত আদায় করবেন না। এরপরে তিনি গোসল করবেন এবং সালাত আদায় করবেন। তিনি প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতেন।
সহিহ, বুখারি হাঃ ৩২৭, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৬২