জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফিকহের পরিভাষায় পবিত্রতা অর্জন করা মানে যদি অযু ভেঙ্গে গিয়ে থাকে,তাহলে অযু করা।
যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে,তাহলে গোসল করা।
,
পায়খানা পেশাব নাপাকি থেকে পরিস্কার হওয়াকে আভিধানিক অর্থে পবিত্র হওয়া বলে।
,
(০২)
এখানে অযু করে পবিত্র হওয়া উদ্দেশ্য।
,
সুরা ওয়াকিয়াহ এর ৭৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
ﻟَّﺎ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭﻥَ
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
হাদিস শরীফে এসেছে
- مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللهِ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ: أَنْ لاَ يَمَسَّ الْقُرَآنَ إِلاَّ طَاهِر،
ٌ،)رقم الحديث 680(
তরজমাঃ- হযরত আমর ইবনে হযম রাঃবলেন,ঐ কিতাব যা আল্লাহর রাসুল সাঃ আমর ইবনে হযমের সাথে নাজরান প্রেরণ করছিলেন তাতে এটাও তিনি লিখে দিয়ছিলেন যে, কোরআনকে প্রবিত্রতা ব্যতীত কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯)
,
(০৩)
হ্যাঁ এতে আপনার শরীর পোশাক পাক পবিত্র।
তবে তবে নামাজ কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদির জন্য যেই পবিত্র হতে হয়,সেটি অযু করলে অর্জন হবে।
,
(০৪)
নাকে পানি দেওয়া সুন্নাত,পানি টেনে নেওয়া সুন্নাত নয়।
তবে এমনটি করা যাবে,কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৫)
এক্ষেত্রে ইসলামী স্কলারদের দুই রকমের মত আছে।
সতর্কতা মূলক পূর্ণাঙ্গ গোসল আবার করে নিবেন।
,
আরো জানুনঃ
,
(০৬)
এগুলোর কোনোটিই আবশ্যক নয়।
তব অযু করে,হাত তুলে দোয়া করা দোয়ার আদব ।
,
(০৭)
না আবশ্যক নয়।
তবে তাহা দোয়ার আদব ।