জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী শরীয়াহ মতে, লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনোরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে।
,
ঋণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ২ টি বিষয় হলোঃ
*ঋণ দানের শর্ত হিসেবে মূলধনের অতিরিক্ত কোনো কিছু আদায় করা।
*অতিরিক্ত যা কিছু আদায় করা হয় তার শরীয়াহ সম্মত কোনো বিনিময় না থাকা।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেন
يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون
‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই তিন লক্ষ টাকা জামানত নামে রাখা হচ্ছে,এটি মূলত ঋন।
যেহেতু ঋনের বিনিময়ে শর্ত করে উক্ত বাড়িতে তাকে থাকতে দিচ্ছে,এটা এমন লাভ,যার বিনিময়ে ঋন দাতার কোনো পরিশ্রম নেই,তাই এটি সূদ হবে।
,
এটি জায়েজ নেই।
হ্যাঁ যদি ঋনের টাকা আর শোধ না করে,বরং তাদের মাঝে এই চুক্তি হয় যে এতটাকা আমাকে ঋন দিন,তাহলে এই বাসার এই তলা আপনার মালিকানায় দিয়ে দিবো।
,
তাহলে জায়েজ আছে।
,
অথবা তাদের মাঝে এই চুক্তি হয় যে এই টাকা আপনি নিবেন,আর এই তলাতে আপনি এতো,, বছর থাকতে পারবেন।
কোনো ভাড়া দিতে হবেনা,তাহলে যতবছরের জন্য হোকনা কেনো,এটি জায়েজ হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সূদের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারনে তাহা নাজায়েজ।
,
আরো জানুনঃ