ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হাদীস হচ্ছে কুরআনের ব্যখ্যা । কুরআনের বিস্তারিত ব্যখ্যা হাদীস দ্বারাই করা হয়েছে। সবগুলো হাদীস কুরআনে রয়েছে, এর পরিবর্তে যদি আমরা এ আকিদা রাখি যে, হাদীসের ভান্ডার হল, কুরআনের ব্যখ্যা । যত হাদীস রয়েছে, তা কুরআনের মর্মার্থ উদ্ভাবনে সহায়তা করে।তাহলে বিষয়টা সুন্দর দেখাবে।
(২)
কা'যা নামাযের কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।শুধুমাত্র তিনটি হারাম সময় ব্যতীত।এগুলো হলো,সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত ও যাওয়াল তথা সূর্য মধ্য আকাশে অবস্থানের সময়। কেননা এ সময় ওয়াক্তিয়া ও কা'যা সকল প্রকার ফরয কিংবা নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1604
(৩)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»
তরজমাঃ-যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)(মিরকাত-৬০২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/6561
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে আমরা বলবো যে, ওয়াক্তের ভিতর কেউ এক রাকাত পেয়ে গেলে, সে পুরো নামাযকেই ওয়াক্তের ভিতর পেয়েছে, ধরতে হবে। কোন কারণে যদি সেই নামাজে ভেঙ্গে যায় তাহলে কি যেহেতু আক্ত পার হয়ে গেছে তখন আপনি এ’আদাহ তথা পূণর্বার পড়ার নিয়ত করবেন।
(৪)
ফরজ নামাজের তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে কেরাত পড়া সুন্নত। ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব। ফাতেহার সাথে অন্য কোন সূরা মিলালে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।