আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
645 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1. যতগুলা হাদিস ইসলামের ইতিহাস রয়েছে সবগুলোই কি কোরআনে পরোক্ষভাবে রয়েছে এরকম বিশ্বাস রাখব  কি আমরা?

  2.  নামাজের শেষ সময় পাই যেরকম 2 বা 1 মিনিট রয়েছে তখন কি কাজা নামাজের নিয়ত করবো  কিনা ? 

  3. ফরজ নামাজে  যদি ওয়াক্তে এক রাকাত পাই তাহলে কি আমার পুরো নামাজ আদায় হয়ে যাবে ?   এবং কোন কারণে যদি সেই নামাজে ভেঙ্গে যায় তাহলে কি যেহেতু আক্ত পার হয়ে গেছে তখন কি আমি কাজা নিয়ত করবো ?

  4. ফরজ নামাজের তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে ভুলে সূরা ফাতেহার সাথে অন্য কোন সূরা যদি মিলে  ফেলি  তাহলে কি সহু সেজদা মাধ্যমে সেই নামাজ বিশুদ্ধ করা যাবে  নাকি আবার পুনরায় পুরো নামাজ টা আদায় করতে হবে?

by
২য় ও ৩ য় রাকাতে সুরা ফাতেহা ছুটে গেলে সাহু সিজদা কি দিতে হবে? 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হাদীস হচ্ছে কুরআনের ব্যখ্যা । কুরআনের বিস্তারিত ব্যখ্যা হাদীস দ্বারাই করা হয়েছে। সবগুলো হাদীস কুরআনে রয়েছে, এর পরিবর্তে যদি আমরা এ আকিদা রাখি যে, হাদীসের ভান্ডার হল, কুরআনের ব্যখ্যা । যত হাদীস রয়েছে, তা কুরআনের মর্মার্থ উদ্ভাবনে সহায়তা করে।তাহলে বিষয়টা সুন্দর দেখাবে। 

(২) 
কা'যা নামাযের কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।শুধুমাত্র তিনটি হারাম সময় ব্যতীত।এগুলো হলো,সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত ও যাওয়াল তথা সূর্য মধ্য আকাশে অবস্থানের সময়। কেননা এ সময় ওয়াক্তিয়া ও কা'যা সকল প্রকার ফরয কিংবা নফল  নামায পড়া নিষিদ্ধ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1604

(৩)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»
তরজমাঃ-যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)(মিরকাত-৬০২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6561

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে আমরা বলবো যে, ওয়াক্তের ভিতর কেউ এক রাকাত পেয়ে গেলে, সে পুরো নামাযকেই ওয়াক্তের ভিতর পেয়েছে, ধরতে হবে। কোন কারণে যদি সেই নামাজে ভেঙ্গে যায় তাহলে কি যেহেতু আক্ত পার হয়ে গেছে তখন আপনি এ’আদাহ তথা পূণর্বার পড়ার নিয়ত করবেন। 

(৪)
ফরজ নামাজের তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে কেরাত পড়া সুন্নত। ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব। ফাতেহার সাথে অন্য কোন সূরা মিলালে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...