আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
১.

// পিরিয়ড ছাড়া তুহুর অবস্থায় সুফরা বা কুদরাতে তো পিরিয়ড হিসেবে কাউন্ট হবেনা।

কিন্তু পিরিয়ড শুরুতে যে সুফরা,  কুদরা হয় তারপর লাল পিরিয়ড আসে।তা তখন তো ওই সুফরা,কুদরাকে পিরিয়ড হিসেবে ধরব ই তো তাইনা?

ধরুন,

দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়ের গ্যাপ ১৫ দিন পার হয়েই গেছে।
এখন ধরুন,৩/৪/ ৫ /৬/তারিখে পিরিয়ড হওয়ার কথা ৩/৪ তারিখের সুফরা/কুদরাও তো পিরিয়ড হিসেবে কাউন্ট হবেনা?

ওইটা তো পিরিয়ডের ডেটের বাইরে হয়নি।পিরিয়ড তো ওই সময়েই হয়।//

২.একেধ অধিক বাবুদেরকে (৩/৪জন হলে) সকাল সন্ধ্যার মাসনূন দোয়া কি সবাইকে আলাদা আলাদা ভাবে পড়ে দিতে হবে?
একই নিয়তে সবার জন্য পড়লে হবে?

আলাদাভাবে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়!

৩.আখের রস অনেক তারি, একদম বেশি গ্যাস হয়ে গেলে কি সেটা নাপাক হয়ে যাবে গায়ে লাগলে?বোতলে ছিল ২ দিন, খোলার সাথেই সাথেই আমার গায়ে আর ঘরে পড়েছে, তাহলে কি সেটা নাপাক হয়ে যাবে?

৪.ফরজ গোসলের সময়ে তো সম্পূর্ণ চুল না ভিজিয়ে, চুল বাধাঁ অবস্থায় শুধু গোড়ায় পানি দিলেই হবে তো তাইনা?

অবস্থা যদি এমন হয় যে, তরল নাপাকী লাগল,তাহলে  পানি ঢেলে দিলেই চলে যাবেনা?সেক্ষেত্রেও কি সম্পূর্ণ চুল ভিজানো জরুরী?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েজের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )

সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত তারিখের সুফরা/কুদরা হায়েজ হিসেবে গন্য হবে।

(০২)
একই নিয়তে সবার জন্য পড়া যথেষ্ট। 
,
(০৩)
সেটি নাপাক নয়।

(০৪)
ফরজ গোসলে পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল গোড়াসহ সম্পূর্ণ ভালোভাবে ভিজতে হবে। মহিলাদের চুল বাঁধা থাকলে খোলা ব্যতীত যদি চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছানো সম্ভব হয়, তাহলে না খুলে শুধু গোড়ায় পানি পৌঁছানোই যথেষ্ট। আর যদি চুল খোলা থাকে তাহলে পুরুষের মতো সম্পূর্ণ চুল ধৌত করা ফরজ। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৪, রদ্দুল মুহতার ১/১৪২)


যদি কোনো নারী তার বেণী না খুলে মাথায় পানি ঢেলে দেয় এবং তার সে পানি চুলের গোড়ায় পৌঁছে যায়, তবে তার গোসল হয়ে যাবে । [মা'আরিফুস সুনান]

ইবনে আবু ওমর [রহ.] হজরত উম্মে সালামা থেকে বর্ণনা করেছেন । তিনি বলেন, আমি রাসুলকে [সা.] একদিন জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আমার চুলের বেণী তো খুব শক্ত করে বাঁধি। ফরজ গোসলের সময় বেণী কি খুলে ফেলতে হবে? রাসুল [সা.] বললেন, না । তোমার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট হবে যে, মাথায় তিনি আঁজলা পানি ঢেলে দেবে । তারপর সারা শরীরে পানি প্রবাহিত করবে । ব্যস, তাহলেই তুমি পবিত্র হয়ে যাবে । [তিরমিজি, হাদিস-১০৫] ইমাম তিরমিজি [রহ.] বলেন, হাদিসটি সহিহ । 
,
★এক্ষেত্রে চুলে নাপাক লাগলে নাপাক লেগে থাকা স্থানে ভালোভাবে চুল ডলে ধৌত করতে হবে।
বেনী বাধা থাকলে সেই স্থান ব্যাতিত সম্পূর্ণ চুল ধোয়া জরুরি নয়।
তবে বেনী বাধার ছুরতে উক্ত নাপাক স্থান ধোয়ার সময় নাপাকি  গড়ে চুলের অন্য স্থানে যেতে পারে,যদি যায় তাহলে সেই স্থান গুলোও ধৌত করা ফরজ হবে।
তাই সতর্কতামূলক এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চুল ধৌত করতে হবে।
,
আর চুল বেনী বাধা না থাকলে অবশ্যই সম্পূর্ণ চুল  ধৌত করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...