শরীয়তের বিধান হলো ফিতনার আশংকা না থাকলে মাহরামদের সাথে একত্রে বসা খাওয়া দাওয়া করা জায়েজ আছে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য খাওয়া জায়েজ আছে।
তবে আপনার বাবা চাচাদের এভাবে একত্রে বসে খাওয়া জায়েজ নেই।
কারন সেখানে আপনার চাচার স্ত্রীরা (চাচিরা) আছে,যারা আপনার বাবার গায়রে মাহরাম।
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}
মোজার উপর মাসাহ বৈধ হবার জন্য মোজার মাঝে কয়েকটি বিষয় থাকা জরুরী। যথা-
১
মোজাটি এতটুকু মোটা হতে হবে যে, এর মাঝে পানি পড়লে তা পায়ে পৌঁছে না।
২
উক্ত মোজা এতটুকুই মোটা যে, মোজাকে কোন কিছু দিয়ে বাঁধা ছাড়াই শুধু মোজা পা দিয়ে চার মাইলের মত হাটা যাবে, কিন্তু মোজা ছিড়বে না
৩
মোজার এতটুকু বড় হতে হবে যে, টাখনুসহ ঢাকা থাকতে হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মোজার মধ্যে এই শর্ত গুলো পাওয়া যায়,তাহলে যেকোনো অবস্থাতেই তার উপর মাসাহ করা জায়েজ আছে।
عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، وَلِلْمُقِيمِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ»، (سنن ابى داود، رقم الحديث-157)
সারমর্মঃ মুসাফির তিন দিন তিন রাত আর মুকিম ব্যাক্তি এক দিন এক রাত মাসাহ করতে পারবে।
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ، وَالنَّعْلَيْنِ (سنن ابى داود، رقم الحديث-159)
সারমর্মঃ রাসুল সাঃ জাওরাবাইন এবং চামড়ার মোজার উপর মাসাহ করতেন।
ولا يجوز المسح على الجوربين عند أبي حنيفة إلا أن يكونا مجلدين أو منعلين وقالا يجوز إذا كانا ثخينين لا يشفان “(هداية، كتاب الطهارة، باب المسح على الخفين-1/61)
সারমর্মঃ এমন মোটা হতে হবে,যেটি ফেটে যায়না।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মহিলা কীভাবে নামায আদায় করবে? তিনি বলেছেন,
تَجْتَمِعُ وَتَحْتَفِزُ
‘খুব জড়সড় হয়ে এক অঙ্গের সাথে আরেক অঙ্গ মিলিয়ে নামায় আদায় করবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২৭৯৪)