আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
612 views
in সালাত(Prayer) by (53 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

মুহতারাম, রুকুর তাসবিহ ৩, ৫ বা ৭ বার পড়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেকবার ওয়াকফ না করে একবারে মিলিয়ে ৩ বার বা ৫,৭ বার পড়া যাবে কি ?

রুকুতে এবং সিজদায় তাসবিহ ১ বার পড়লে নামাজে কোনো অসুবিধা হবে কি না ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

মতলক্বে সেজদা ফরয তথা একটি মুহুর্ত পরিমাণ সময়ে হলেও সেজদা করা নামাযে ফরয।এবং এক তাসবীহ পরিমাণ সেজদাকে দীর্ঘায়ত করা ওয়াজিব।আর তিন তাসবীহ পরিমাণ দীর্ঘায়ত করা সুন্নত।এবং এর চেয়ে বেশী বেজোড় সংখ্যায় দীর্ঘায়ত করা মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/১৯)

নামাযের রু'কু এবং সেজদাতে তাসবীহ পাঠ সুন্নত।যদি কোনো কারণে কেউ তাসবীহ পাঠ করতে পারে না।তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।তবে বিনা কারণে এমনটা করা মাকরুহ।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫৮)

وَيَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ فَلَوْ تَرَكَ التَّسْبِيحَ أَصْلًا أَوْ أَتَى بِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً يَجُوزُ وَيُكْرَهُ
মুসাল্লি রু'কু তে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম বলবে।এবং এটা সর্বনিম্ন।তবে যদি কেউ তাসবীহ ছেড়ে দেয়,মূলত সে পড়ে না।অথবা একবার পড়ে নেয়,তাহলে সেটাও জায়েয আছে।তবে মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৪)

وَيَقُولُ فِي سُجُودِهِ سُبْحَانَ رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَزِيدَ عَلَى الثَّلَاثِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ بَعْدَ أَنْ يَخْتِمَ بِالْوِتْرِ. كَذَا فِي الْهِدَايَةِ فَالْأَدْنَى فِيهِمَا ثَلَاثُ مَرَّاتٍ وَالْأَوْسَطُ خَمْسُ مَرَّاتٍ وَإِلَّا كَمَّلَ سَبْعَ مَرَّاتٍ. كَذَا فِي الزَّادِ وَإِنْ كَانَ إمَامًا لَا يَزِيدُ عَلَى وَجْهٍ يُمِلُّ الْقَوْمَ. كَذَا فِي الْهِدَايَةِ
মুসাল্লি সেজদাতে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা তিনবার করে বলবে।এবং এটাই সর্বনিম্ন সংখ্যা। মুস্তাহাব  হলো তিনের অধিক পড়া।এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন হলো,তিনবার পড়া,এবং মধ্যম হলো পাঁচ বার পড়া,আর পরিপূর্ণ হলো সাতবার করে পড়া।তবে ইমাম সাহেব এতো অধিক পড়বেন না যে,মুসাল্লিরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৫)

রু'কু সেজদার তাসবীহ কম পক্ষে তিনবার হওয়াই উচিৎ।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭৬)

ইমাম যদি এত দ্রুত রুকু সেজদা করেন,যে মুকতাদি একবারের বেশী বলতে পারছে না,তাহলে এমতাবস্থায় মুকতাদি একবার তাসবিহ পড়ে ইমামের অনুসরণ করবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬০৮)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

রু'কু সেজদাতে তিন বার তাসবীহ পাঠই সুন্নত।কোনো প্রকার প্রয়োজন ও হাজত ব্যতীত তিনের কম পাঠ করা মাকরুহ।তবে প্রয়োজনে অনুমোদিত।

তাসবিহ সমূহ ওয়াক্বফ করে পড়তে হবে না মিলিয়ে পড়তে হবে?এ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে না।যেকোনো ভাবেই পড়া যাবে।তবে ইমাম হলে তারাতারি পড়ার চেষ্টা করাই উচিৎ।একাকী বা নফল নামাযে ধীরগতিতে পড়াই উচিৎ।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...