বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কোনো ব্যাংক বিনা সুদে লোন বা টাকা ধার দেয় তাহলে তা তো জায়েয, অন্যথায় অতিরিক্ত টাকা পরিশোধের শর্তে টাকা ধার নেয়া কখনো জায়েয হবে না, চায় ইসলামি ব্যাংক ই হোক না কেন।
তবে কেউ একেবারে নিরুপায় হলে, যেমন চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা যাচ্ছে,অথবা বাড়ীর জায়গা আছে কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপনের উপযোগী ঘর নির্মাণের কোনো উপায় নাই,এবং সে নিজেও রোজি রোজগার করতে একেবারে অক্ষম,এমন অবস্থায় শুধুমাত্র প্রয়োজন পূর্ণ করা পর্যন্ত প্রচলিত লোন নেয়া যাবে, অন্যথায় সাধারণত লোন বা সুদ গ্রহণ সর্বদা হারাম বলেই বিবেচিত হবে । (জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;)
বিঃদ্রঃ
হ্যা, আমাদেরকে স্বরণ রাখতে হবে যে,যেহেতু শরীয়ত জরুরতের দরুণ প্রয়োজন পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে, বিধায় রুজিরোজগারের কোনো উপায় না থাকলে, শুধুমাত্র তখনই প্রয়োজন পর্যন্ত সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয হবে। কাউকে ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা কখনো জরুরতের আওতাধীন হবে না। কেননা অন্তর পক্ষে তার কাছে তো কিছু টাকা অবশিষ্ট আছে যা সে ঋণ দিতে চাচ্ছে।