আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আচ্ছা সাধারনত দেখা জায় আল্লাহর প্রিয় বান্দারা দুনিয়াতে অনেক কষ্টে থাকেন। অনেক কঠিন বাধার সম্মুখীন হন। তারা তো ইনশাআল্লাহ পরকালে আরামে থাকিবে।আবার দেখা জায় খারাপ মানুষ দুনিয়ায় আরামে আর পরকালে কষ্টে থাকে।
আমি জানতে চাই এমন কোন উদাহরন কি আছে যে ব্যাক্তি দুনিয়া ও পরকালে আরামে ছিল।
আল্লাহ তো চা ইলে তার প্রিয় মানুষদের কঠিন পরিক্ষা না দিয়েই পরকালে মুক্তি দিতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মুমিনরা প্রকৃত শান্তি আখেরাতেই পাবে, দুনিয়াতে শান্তিতে থাকলেও সেটি আসল শান্তি নয়।
মুমিনদের দুনিয়ার জীবন কিছু ক্ষেত্রে অনেকটা কষ্টের হয়,

ছাহাবী সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, আমরা খন্দকে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছিলাম। এ সময় আমরা পরিখা খনন করছিলাম ও কাঁধে করে মাটি বহন করছিলাম’। আনাস (রাঃ) বলেন, শীতের সকালে ক্ষুৎ-পিপাসায় কাতর ছাহাবীগণ পরিখা খনন করছিলেন। এমন সময় রাসূল (ছাঃ) সেখানে আগমন করেন ও তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে প্রার্থনার সুরে গেয়ে ওঠেন,

اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الْآخِرَهْ + فَاغْفِرِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ
‘হে আল্লাহ! নেই কোন আরাম পরকালের আরাম ব্যতীত। অতএব তুমি আনছার ও মুহাজিরদের ক্ষমা কর’। জবাবে ছাহাবীগণ গেয়ে ওঠেন,

نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدًا + عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِيْنَا أَبَدَا
‘আমরা তারাই, যারা মুহাম্মাদের হাতে জিহাদের বায়‘আত করেছি যতদিন আমরা বেঁচে থাকব’ (বুখারী হা/৪০৯৮-৯৯)।

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ " .

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জেলখানা এবং কাফেরের বেহেশতখানা।
মুসলিম ২৯৫৬, তিরমিযী ২৩২৪, আহমাদ ৮০৯০, ৯৯১৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
,
বাধ্যতামূলক (ফরজ, ওয়াজিব) সালাত বাদ দিয়ে যারা এ দুনিয়ায় শান্তি তালাশ করে তারা শুধুমাত্র ত্বরিত শাস্তির ব্যবস্থা করছে। অবিশ্বাসী (কাফের) এখানে (এ দুনিয়াতে) তার পূর্ণ শান্তি চায়, একারণেই সে বলে-

وَقَالُوا رَبَّنَا عَجِّل لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ الْحِسَابِ
“হে আমাদের প্রতিপালক বিচার দিবসের পূর্বেই আমাদেরকে আমাদের প্রাপ্য দিয়ে দিন।” (৩৮-সূরা ছোয়াদঃ আয়াত-১৬)
,
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
মুমিনদের অনেকেই দুনিয়াতেও শান্তিতে ছিলেন,আছে,থাকবে।
অনেক আল্লাহ ওয়ালা বুযুর্গ লোক রয়েছেন,যাদের দুনিয়ায়ও শান্তি,আখেরাতেও শান্তি।
,
কিন্তু তারপরেও এটি আখেরাতের তুলনায় শান্তি নয়।
আখেরাতের শান্তির তুলনায় দুনিয়ার এসব শান্তি কিছুই নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...