জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মুমিনরা প্রকৃত শান্তি আখেরাতেই পাবে, দুনিয়াতে শান্তিতে থাকলেও সেটি আসল শান্তি নয়।
মুমিনদের দুনিয়ার জীবন কিছু ক্ষেত্রে অনেকটা কষ্টের হয়,
ছাহাবী সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, আমরা খন্দকে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছিলাম। এ সময় আমরা পরিখা খনন করছিলাম ও কাঁধে করে মাটি বহন করছিলাম’। আনাস (রাঃ) বলেন, শীতের সকালে ক্ষুৎ-পিপাসায় কাতর ছাহাবীগণ পরিখা খনন করছিলেন। এমন সময় রাসূল (ছাঃ) সেখানে আগমন করেন ও তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে প্রার্থনার সুরে গেয়ে ওঠেন,
اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الْآخِرَهْ + فَاغْفِرِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ
‘হে আল্লাহ! নেই কোন আরাম পরকালের আরাম ব্যতীত। অতএব তুমি আনছার ও মুহাজিরদের ক্ষমা কর’। জবাবে ছাহাবীগণ গেয়ে ওঠেন,
نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدًا + عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِيْنَا أَبَدَا
‘আমরা তারাই, যারা মুহাম্মাদের হাতে জিহাদের বায়‘আত করেছি যতদিন আমরা বেঁচে থাকব’ (বুখারী হা/৪০৯৮-৯৯)।
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জেলখানা এবং কাফেরের বেহেশতখানা।
মুসলিম ২৯৫৬, তিরমিযী ২৩২৪, আহমাদ ৮০৯০, ৯৯১৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
,
বাধ্যতামূলক (ফরজ, ওয়াজিব) সালাত বাদ দিয়ে যারা এ দুনিয়ায় শান্তি তালাশ করে তারা শুধুমাত্র ত্বরিত শাস্তির ব্যবস্থা করছে। অবিশ্বাসী (কাফের) এখানে (এ দুনিয়াতে) তার পূর্ণ শান্তি চায়, একারণেই সে বলে-
وَقَالُوا رَبَّنَا عَجِّل لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ الْحِسَابِ
“হে আমাদের প্রতিপালক বিচার দিবসের পূর্বেই আমাদেরকে আমাদের প্রাপ্য দিয়ে দিন।” (৩৮-সূরা ছোয়াদঃ আয়াত-১৬)
,
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
মুমিনদের অনেকেই দুনিয়াতেও শান্তিতে ছিলেন,আছে,থাকবে।
অনেক আল্লাহ ওয়ালা বুযুর্গ লোক রয়েছেন,যাদের দুনিয়ায়ও শান্তি,আখেরাতেও শান্তি।
,
কিন্তু তারপরেও এটি আখেরাতের তুলনায় শান্তি নয়।
আখেরাতের শান্তির তুলনায় দুনিয়ার এসব শান্তি কিছুই নয়।