ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিতির নামায সম্পর্কে পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক আলেম মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ লুধিয়ানভী রাহ.
'হাদীস ও আছারের আলোকে বিতর নামায'
শীর্ষক একটি ফেকহী মাক্বালা লিখেছেন- যা মাসিক আল-কাউছারে প্রকাশ করা হয়েছে।উনি এ সম্পর্কিয় যাবতীয় বিষয়বস্তুকে একজায়গায় একত্র করেছেন।তাই এ বিষয়ে নতুন করে লিখার কোনো প্রয়োজন নাই।
নিম্নে উনার মাক্বালাকে উপস্থাপন করছি-
প্রশ্ন : বিতরের নামাযে দুই রাকাতের পর আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসা এবং তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা-কিরাতের পর আল্লাহু আকবার বলে দুই হাত কান পর্যন্ত ওঠানো অতঃপর হাত বেঁধে কুনূত পাঠ করা কি দলীল দ্বারা প্রমাণিত?
অথচ হযরত আয়েশা রা.-এর বিশুদ্ধ বিবরণে আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত বা সাত রাকাত বিত্র পড়তেন তখন দুই রাকাতের পর আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসতেন না। তদ্রূপ বিতর নামায এক রাকাত পড়াও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। পাশাপাশি আরো জানতে চাই যে, কুনূত পাঠের সময় দুই হাত দোয়ার মতো ওঠাবে, না নামাযের মতো হাত বেঁধে রাখবে?
হাদীস শরীফের আলোকে সমাধান প্রদান করে কৃতজ্ঞ করবেন।
উত্তর : আপনি বিতর নামাযের বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। বিষয়গুলি হচ্ছে :
১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বিতরের নামায তিন রাকাতই পড়তেন, না এক রাকাত, পাঁচ রাকাত বা সাত রাকাতও পড়তেন?
২. বিতরের দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক করতেন, না সরাসরি তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন?
৩. কুনূত পাঠের পূর্বে কি আল্লাহু আকবার বলে হাত ওঠাতেন?
৪. দুআয়ে কুনূত হাত বেঁধে পাঠ করতেন, না দোয়ার মতো হাত তুলে পাঠ করতেন?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)হানাফি ফিকহ অনুযায়ী বিতিরের নামাযে তিন রাকাত একসাথেই পড়তে হবে। তবে অন্যান্য ফিকহ অনুযায়ী ২+১ করেও বিতির পড়া যায়।
(২)না, বিতরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সূরা নেই। বিতরের নামাজ মূলত ইবাদতের জন্য, নামাজের জন্য। বিতরের নামাজ আদায়ের জন্য নবী (সা.) কোনো নির্দিষ্ট সূরা নির্ধারণ করে যাননি; বরং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে কারিমের মধ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘কোরআন থেকে তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায়, তোমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়, তোমরা ততটুকু তিলাওয়াত করো। তবে কেউ সূরা ইখলাছ এবং সূরায়ে কাফিরুন পড়াকে সুন্নত বলে থাকেন।
(৩) মুখের জড়তার কারনে কিরাত ঠিক না হলে , কোনো সমস্যা নাই ।বরং নামায বিশুদ্ধ হবে।