বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
নিজ পিতামাতা এবং সন্তানাদি ও পরস্পর স্বামী-স্ত্রী ব্যতীত অন্য যে কাউকে যাকাত দেয়া যায়।নিস্ব-গরীব আপন ভাই-বোন,চাচা ফুফু যেকাউকে দেয়া যায়।প্রয়োজনগ্রস্থ নিকটাত্মীয় কাউকে যাকাত দেয়াই বেশী সওয়াব।এক্ষেত্রে দু'টি সওয়াব পাওয়া যায়,একটা হলো যাকাত আদায়ের সওয়াব,আর দ্বিতীয়টি হলো সিলাহ রেহমীর সওয়াব।
যেমন বর্নিত রয়েছে
(و) كره (نقلها إلا إلى قرابة) بل في الظهيرية لا تقبل صدقة الرجل وقرابته محاويج حتى يبدأ بهم فيسد حاجتهم
নিজ প্রয়োজনগ্রস্থ নিকটাত্মীয় ব্যতীত অন্যত্র যাকাত প্রদান মাকরুহ।এমনকি জাহিরিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,কোনো মানুষ নিজ প্রয়োজনগ্রস্থ নিকটাত্মীয় ব্যতীত অন্যত্র যাকাত দিলে সে সওয়াব পাবে না।সুতরাং নিজ নিকটাত্মীয়র মাধ্যমেই জাকাতের সূচনা করতে হবে,এবং তাদের হাজত-কে পূর্ণ করতে হবে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৩৫৩)
একত্রে সবগুলি যাকাতও কাউকে দেয়া যায় আবার কিছু কিছু করেও দেয়া যায়।এক্ষেত্রে নিজের নিয়ত থাকলেই চলবে।যাকে দেয়া হচ্ছে তাকে যাকাত বলে দিতে হবে না।
তবে কোনো একক ফকির-মিসকিনকে একটুকু পরিমাণ যাকাত প্রদাণ করা যার দ্বারা সে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হয়ে যাবে,চায় সে নেসাব পরিমাণ মাল ক্রমবর্ধমান হোক বা না হোক,সর্বাবস্থায় মাকরুহ হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
(وكره إعطاء فقير نصابا) أو أكثر (إلا إذا كان) المدفوع إليه (مديونا أو) كان (صاحب عيال) بحيث (لو فرقه عليهم لا يخص كلا) أو لا يفضل بعد دينه (نصاب) فلا يكره فتح.
নেসাব পরিমাণ বা তারচেয়ে বেশী মালকে যাকাত হিসেবে কাউকে দান করা মাকরুহ।তবে যদি কেউ ঋণগ্রস্থ থাকে যে,ঋণ পরিশোধ করার পর নেসাব পরিমাণ মাল বাকী থাকবে না বা কোরো ফকিরের পরিবারের লোকসংখ্যা বেশী রয়েছে যে,যাকাতের উক্ত মালকে সবার উপর বন্টন করে নিলে আর নেসাব পরিমাণ আর থাকবে না।তাহলে তখন কোনো এক ফকির মিসকিনকে সবগুলো যাকাতে দেয়া মাকরুহ হবে না।(আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৩৫৩)
(কোনো এক ফকির-মিসকিনকে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক বানিয়ে দেয়া মাকরুহ।'প্রশ্ন হলো,কোন নেসাব?ক্রমবর্ধমান না অক্রমবর্ধমান?
এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ উপরের বর্ণিত ইবারতের ব্যখ্যায় লিখেন,)
والظاهر أنه لا فرق بين كون النصاب ناميا أو لا
কোনো এক ফকির মিসকিনকে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক বানিয়ে দেয়া মাকরুহ।চায় সেটা ক্রমবর্ধমান নেসাব হোক বা নাই হোক।সর্বাবস্থায় মাকরুহ ই হবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৫৩)
আরো বর্ণিত রয়েছে-(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৩০৩)
আরো জানতে ভিজিট করুন- 699 , 1239, 1238
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.