জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বাথরুমে যদি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা হয় যার ফলে সেখান থেকে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে এর দ্বারা উক্ত এলাকা পাক হয়ে যাবে।
(আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৩৩)
তখন সেখানে অযু গোসল করা জায়েজ হবে।
যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক বেদুঈন এর মাসজিদে পেশাব করার ফলে তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারী ২১৯)
পাক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে অযু গোসল করতে কোন বাধা নেই।
,
★তবে অযু গোসলের জায়গা আলাদা করাই ভালো,এটাই সর্বোচ্চ সতর্কতা।
হাদিস শরিফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফফাল রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ، فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ
তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা, অসওয়াসা সাধারনণতঃ এজন্যই সৃষ্টি হয়। (আবু দাউদ ২৭, তিরমিযী ২১)
তাছাড়া সেখানে মানুষের পেশাব থাকে,যেটা নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে। (দারাকুতনী ৪৭৬)
বর্তমানে সর্বত্রই বাথরুম ও টয়লেট প্রায় এক সাথেই।অথচ ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাথরুমে অযু গোসল করা জায়েয আছে।
তবে অনুত্তম।
তাই সতর্কতামূলক অযু গোসলের পূর্বে ভালো ভাবে পানি ঢেলে নিবেন।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে বাথরুমে হাই কমোড বানানো তাদের জন্য জায়েজ যাদের বসে প্রস্রাব পায়খানা কষ্টকর। এমনিতে ফ্যাশন স্বারূপ এমনটি করা মাকরুহে তাহরীমী। প্রয়োজন ছাড়া হাই কমোড বানানো উচিত নয়। (জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৫৭}
★গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া এমনিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা হাইকমোডে প্রস্রাব করা মাকরুহে তাহরীমী।
তবে যদি কোথাও হাই কমোড ব্যতীত নিচু কোন বাথরুম না থাকে, তাহলে হাই কমোডে ইস্তিঞ্জা করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
আরো জানুনঃ