আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
343 views
in পবিত্রতা (Purity) by (20 points)
১। গোসলখানায় বা গোসলকরার জায়গায় প্রসাব করা নিষেধ কিন্তু বর্তমানে প্রায় সব বিল্ডিং বাড়িতেই দেখা যায় গোসলখানা আর টয়লেট একসাথে মিলিয়েই ওয়াশরুম।

এ ব্যাপারে ইসলামিক মতামত কী?


২। হাই কমোডে প্রসাব করা কি শরীয়ত সম্মত? হাই কমোডে পায়খানা করার সময় অনেকসময় পানি ছিটকে আসে, শরীরে লাগে। এই ব্যাপারে ইসলামিক বিধান জানতে চাই।


৩। প্রসাব করার পর কুলুফ ব্যবহারের সর্বোত্তম নিয়ম টি জানতে চাই। পায়খানা করার পর কীভাবে ঢিলা ব্যবহার করতে হবে? উভয়ক্ষেত্রে টিস্যু ইউজ করা যাবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বাথরুমে যদি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা হয় যার ফলে সেখান থেকে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে এর দ্বারা উক্ত এলাকা পাক হয়ে যাবে।
(আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৩৩) 

তখন সেখানে অযু গোসল করা জায়েজ হবে। 

যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ  জনৈক বেদুঈন এর মাসজিদে পেশাব করার ফলে তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারী ২১৯)

পাক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে অযু গোসল করতে কোন বাধা নেই।
,
★তবে অযু গোসলের জায়গা আলাদা করাই ভালো,এটাই সর্বোচ্চ সতর্কতা। 

হাদিস শরিফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফফাল রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ، فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ

তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা, অসওয়াসা সাধারনণতঃ এজন্যই সৃষ্টি হয়। (আবু দাউদ ২৭, তিরমিযী ২১)

তাছাড়া সেখানে মানুষের পেশাব থাকে,যেটা নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه

তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে। (দারাকুতনী ৪৭৬)

বর্তমানে সর্বত্রই বাথরুম ও টয়লেট প্রায় এক সাথেই।অথচ ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাথরুমে অযু গোসল করা  জায়েয আছে।
তবে অনুত্তম। 
তাই সতর্কতামূলক অযু গোসলের পূর্বে  ভালো ভাবে  পানি ঢেলে নিবেন।
 
আরো জানুনঃ 
,
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে বাথরুমে হাই কমোড বানানো তাদের জন্য জায়েজ যাদের বসে প্রস্রাব পায়খানা কষ্টকর। এমনিতে ফ্যাশন স্বারূপ এমনটি করা মাকরুহে তাহরীমী। প্রয়োজন ছাড়া হাই কমোড বানানো উচিত নয়। (জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৫৭}

★গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া এমনিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা হাইকমোডে প্রস্রাব করা মাকরুহে তাহরীমী।

তবে যদি কোথাও হাই কমোড ব্যতীত নিচু কোন বাথরুম না থাকে, তাহলে হাই কমোডে ইস্তিঞ্জা করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...