আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
369 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
শাইখ,

১/আমি যদি কোন ব্যাবসায়ী হতে কিছু চাল কিনি,কিন্তু ব্যবসায়ী চাল গুলো চুরি করে আমার কাছে বিক্রি করেছে,এতে চাল গুলো কেনা হারাম হবে নাকি হালাল?কেন হারাম /হালাল?আমার কথা হলো দোষ তো তার হবে,আমি তো হালাল ভাবে কিনে নিয়েছি,তবে সে চুরী করে বিক্রি করেছে আমার কাছে।

২/কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি কোন পূজা/ক্রীসমাস উপলক্ষে কোন পণ্য ছাড় দিলে সে পন্য কি কেনা জায়েজ?(পণ্যটা হালাল) তাদের দেয়া ছাড়ে কেনা কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,অন্যকে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
,
   
পবিত্র কোরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা  বলেছেন,
وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ (سورة المائدة-2

অনুবাদ-তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না।( সুরা মায়িদা-২)

রাসুল স. ইরশাদ করেছেন,

وفى سنن البيهقى الكبرى- عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال : من اشترى سرقة وهو يعلم أنها سرقة فقد اشرك في عارها واثمها ( سنن البيهقى الكبرى-كتاب البيوع، باب كراهية مبايعة من أكثر ماله من الربا أو ثمن المحرم، رقم-৫/৩৩৫

অনুবাদ-আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কোন চুরির বস্তু চুরির মাল জেনেও ক্রয় করে তবে সেও সেই অপরাধে এবং গোনাহে শরীক হবে।(সুনানে বায়হাকী-৫/৩৩৫)
,
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিস থেকে এটা জানা গেল চুরি হওয়া মালামাল জেনে শুনে ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা এতে করে চোরকে উৎসাহ প্রদান সহযোগিতা করা হয়।
অপরদিকে চোর বা ছিনতাইকারী তথা অপরাধীকে সহায়তা করা সম্পুর্ণরুপে হারাম।

,
চোরাই মাল ক্রয়-বিক্রয় করা সম্পূর্ণ হারাম। কারণ, বিক্রেতা এ মালের মালিক নয়। অথচ ক্রয়-বিক্রয়ের প্রধান শর্ত হলো, বিক্রেতা পণ্যের/সম্পদের মালিক হওয়া। কারো কোনো জিনিস চুরি করা বা আত্মসাৎ করা মহাপাপ। এ পাপে লিপ্ত ব্যক্তির তাৎক্ষণিক ফরয হলো খাঁটি দিলে তওবা করা এবং চুরিকৃত জিনিসটি মালিককে ফেরত দেওয়া। তা না করে এটিকে বিক্রি করে দেওয়া চুরি এবং আত্মসাতের মতো অপরাধকে আরো প্রতিষ্ঠিত করার নামান্তর। যা স্বতন্ত্র কবীরা গুনাহ। আর যে ব্যক্তি জেনে-শুনে তা ক্রয় করল সেও এ কবীরা গুনাহে শরিক হলো। উপরন্তু এ ক্রয়-বিক্রয় যেহেতু ভুয়া তাই না ক্রেতা এ পণ্যের মালিক হবে না বিক্রেতা মূল্যের মালিক হবে। এদের উভয়ের উপর ফরয,পণ্য মূল মালিককে ফেরৎ দেওয়া।

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২২৪৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৩৭৪, ৩৪০; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/১১০)
,
★আপনি যদি জানেন যে উক্ত চাউল চুরি করা,তাহলে জেনে শুনে তাহা ক্রয় করা জায়েজ নেই।

(০২)

শরীয়তের বিধান হলো কোন মুসলিমের জন্য কুফরী আচারানুষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা কিংবা এ উপলক্ষে  বোনাস গ্রহন,অফার গ্রহন করা হারাম। 
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি কোন পূজা/ক্রীসমাস উপলক্ষে কোন পণ্য ছাড় দিলে  সেই ছাড়ে উক্ত পন্য  ক্রয় করা জায়েজ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...