আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আস-সালামু আলাইকুম
১) চার রাকআত বিশিষ্ট ফরজ/সুন্নাত সালাতে দ্বিতীয় রাকআত এর পর বৈঠক থেকে উঠে সূরা ফাতিহার পর ভুল করে [বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম] পড়লে কি সাহু সিজদাহ্ দিতে হবে?

২) মুয়াজ্জিন যখন আজান দেয় তখন দুই/এক কানে হাত দেয় কেন? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

৩) {নারায়ে তাকবির} এই কথাটার অর্থ কি? এই শব্দ দুইটার অর্থ কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)
,
★প্রশ্নে উল্লখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা। 
এক্ষেত্রে নামাজর কোনো সমস্যা হবেনা।
 
(০২)
কানে আঙুল দিয়ে মুয়াজ্জিন আল্লাহর এই মহত্তম বাণীকে একনিবিষ্ট মনে অনুধাবন করার চেষ্টা করে। 
,
কানে আঙুল দেওয়া আযানের আনুষ্ঠানিকতার একটি অংশ যা সাহাবাদের অনুসরণ করে করা হয়।
এটি হাদীস স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।   

যেমন হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় ডান দিকে চেহারা করা,সাহাবায়ে কেরামদের অনুসরণ। 

হাদীস শরীফে  এসেছেঃ 

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَأَى بِلَالاً يُؤَذِّنُ فَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُ فَاهُ هَهُنَا وَهَهُنَا بِالْأَذَانِ.
আবূ যুহায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বিলাল (রাঃ)–কে আযান দিতে দেখেছেন। (এরপর তিনি বলেন) তাই আমি তাঁর (বিলালের) ন্যায় আযানের মাঝে মুখ এদিক সেদিক (ডানে-বামে) ফিরাই। (বুখারী শরীফ ১৮৭)

(আ.প্র. ৫৯৮, ই.ফা. ৬০৬)

প্রশ্ন সংক্রান্ত মূল হাদীসঃ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ وَيَدُورُ وَيُتْبِعُ فَاهُ هَا هُنَا وَهَا هُنَا وَإِصْبَعَاهُ فِي أُذُنَيْهِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قُبَّةٍ لَهُ حَمْرَاءَ أُرَاهُ قَالَ مِنْ أَدَمٍ فَخَرَجَ بِلاَلٌ بَيْنَ يَدَيْهِ بِالْعَنَزَةِ فَرَكَزَهَا بِالْبَطْحَاءِ فَصَلَّى إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ الْكَلْبُ وَالْحِمَارُ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَرِيقِ سَاقَيْهِ . قَالَ سُفْيَانُ نُرَاهُ حِبَرَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي جُحَيْفَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ أَنْ يُدْخِلَ الْمُؤَذِّنُ إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ فِي الأَذَانِ 

আওন ইবনু আবু জুহাইফা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (আবু জুহাইফা) বলেন, আমি বিলাল (রাঃ)-কে আযান দিতে দেখলাম এবং তাকে এদিক সেদিক ঘুরতে ও মুখ ঘুরাতে দেখলাম। তার (দুই হাতের) দুই আঙ্গুল উভয় কানের মধ্যে ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রঙ্গীন তাবুর মধ্যে ছিলেন। (রাবী বলেন) আমার ধারণা, তিনি (আবু জুহাইফা) বলেছেন, এটা চামড়ার তাবু ছিল। বিলাল (রাঃ) ছোট একটা বর্শা নিয়ে সামনে আসলেন এবং তা বাতহার শিলাময় যমিনে গেড়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা সামনে রেখে নামায আদায় করলেন। তার সামনে দিয়ে কুকুর এবং গাধা চলে যেত। তার গায়ে লাল চাদর ছিল। আমি যেন তার পায়ের গোছার উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি। সুফিয়ান বলেন, আমার মনে হয় এটা ইয়ামানের তৈরী চাদর ছিল। —সহীহ। বুখারী ১৯৭,ইবনু মাজাহ– (৭১১)।
,
(০৩)
১ম শব্দ "নারায়ে" অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। আর দ্বিতীয় শব্দটি "তাকবীর" অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।

নারায়ে তাকবীর অর্থ হলো, তোমরা উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা দাও,তোমরা উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর তাকবির বলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 518 views
0 votes
1 answer 596 views
0 votes
1 answer 391 views
...