ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি কোনো মুসলিম মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নিজের জন্য শাস্তি কামনা করেছিলো কিন্তু মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় তার ঐ কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে নি। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর কোনো একটি গুনাবলী ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে অস্বীকার করার কারনে কাফির হয়ে যায় এবং ব্যক্তিটি এটাও বুঝতে পারে যে সে কাফির হয়ে গেছে। এরপরে কাফির অবস্থায় ঐ ব্যক্তিটি যদি মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেই শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য যদি তওবা করে, তাহলে তার তাওবাহ কবুল হবে না। তবে যদি সে আবার ইসলাম কবুল করে নেয়, তারপর আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে , তাহলে তার তাওবাহ কবুল করা হবে। এবং তাকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
কোনো মুসলিম মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নিজের জন্য শাস্তি কামনা করেছিলো কিন্তু মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় তার ঐ কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে নি। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর সাথে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে শরীক করার কারণে মুশরিক হয়ে যায় এবং ব্যক্তিটি এটাও বুঝতে পারে যে মুশরিক হয়ে গেছে। এরপরে মুশরিক অবস্থায় ঐ ব্যক্তিটি যদি মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেই শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য যদি তওবা করে ,তাহলে তার তাওবাহ কবুল হবে না। তবে যদি সে আবার ইসলাম কবুল করে নেয়, তারপর আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে , তাহলে তার তাওবাহ কবুল করা হবে। এবং তাকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বুঝতে পেরেছি যে, উনি জানতে চাচ্ছেন, আল্লাহ তা’আলা কখন কোন শাস্তি দিবেন,? উত্তর একটাই আল্লাহ কখন কোন কোন শাস্তি দিবেন, সেটা আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানেনা এবং জানবে না। বান্দা আল্লাহ ভয় করবে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করবে। এবং নিজ আ’মল কে চালিয়ে যাবে।