আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
ধরুন একজন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চাইলো যে সে যদি কোনো গুনাহ করে তাহলে আল্লাহ যেন আল্লাহর পছন্দমতো শাস্তি তাকে(সেই ব্যক্তি) দেয়। এখনঃ

১. সেই ব্যক্তি কবিরা গুনাহ করার আগে কার শাস্তিকে অধিক অগ্রাধিকার দিবে? দুনিয়াতে কবিরা গুনাহ করার জন্য আল্লাহ যে শাস্তি নিজ ইচ্ছায় দুনিয়াতে দিতে পারেন সেটা নাকি সেই ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় গুনাহ করার জন্য আল্লাহর নিকট হতে আল্লাহর পছন্দমতো যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেটা?

২. সেই ব্যক্তি সগিরা গুনাহ করার আগে কার শাস্তিকে অধিক অগ্রাধিকার দিবে? দুনিয়াতে সগিরা গুনাহ করার জন্য আল্লাহ যে শাস্তি নিজ ইচ্ছায় দুনিয়াতে দিতে পারেন সেটা নাকি সেই ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় গুনাহ করার জন্য আল্লাহর নিকট হতে আল্লাহর পছন্দমতো যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেটা?

৩. সেই ব্যক্তি কবিরা গুনাহ করার পরে কার শাস্তিকে অধিক অগ্রাধিকার দিবে? দুনিয়াতে কবিরা গুনাহ করার জন্য আল্লাহ যে শাস্তি নিজ ইচ্ছায় দুনিয়াতে দিতে পারেন সেটা নাকি সেই ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় গুনাহ করার জন্য আল্লাহর নিকট হতে আল্লাহর পছন্দমতো যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেটা?

৪. সেই ব্যক্তি সগিরা গুনাহ করার পরে কার শাস্তিকে অধিক অগ্রাধিকার দিবে? দুনিয়াতে সগিরা গুনাহ করার জন্য আল্লাহ যে শাস্তি নিজ ইচ্ছায় দুনিয়াতে দিতে পারেন সেটা নাকি সেই ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় গুনাহ করার জন্য আল্লাহর নিকট হতে আল্লাহর পছন্দমতো যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেটা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

যদি কোনো মুসলিম মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নিজের জন্য শাস্তি কামনা করেছিলো কিন্তু মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় তার ঐ কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে নি। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর কোনো একটি গুনাবলী  ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে অস্বীকার করার কারনে কাফির হয়ে যায় এবং ব্যক্তিটি এটাও বুঝতে পারে যে সে কাফির হয়ে গেছে। এরপরে কাফির অবস্থায় ঐ ব্যক্তিটি যদি মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেই শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য যদি তওবা করে, তাহলে তার তাওবাহ কবুল হবে না। তবে যদি সে আবার ইসলাম কবুল করে নেয়, তারপর আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে , তাহলে তার তাওবাহ কবুল করা হবে। এবং তাকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে। 

কোনো মুসলিম মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নিজের জন্য শাস্তি কামনা করেছিলো কিন্তু মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় তার ঐ কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে নি। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর সাথে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে শরীক করার কারণে মুশরিক হয়ে যায় এবং ব্যক্তিটি এটাও বুঝতে পারে যে  মুশরিক হয়ে গেছে। এরপরে মুশরিক অবস্থায় ঐ ব্যক্তিটি যদি মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেই শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য যদি তওবা করে ,তাহলে তার তাওবাহ কবুল হবে না। তবে যদি সে আবার ইসলাম কবুল করে নেয়, তারপর আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে , তাহলে তার তাওবাহ কবুল করা হবে। এবং তাকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে। 

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বুঝতে পেরেছি যে, উনি জানতে চাচ্ছেন, আল্লাহ তা’আলা কখন কোন শাস্তি দিবেন,? উত্তর একটাই আল্লাহ কখন কোন কোন শাস্তি দিবেন, সেটা আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানেনা এবং জানবে না।  বান্দা আল্লাহ ভয় করবে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করবে। এবং নিজ আ’মল কে চালিয়ে যাবে। 




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও  সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...