আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
368 views
in পবিত্রতা (Purity) by (33 points)
১. নাভীর নিচের লজ্জাস্থানের লোম পরিষ্কার করার সীমানা কতটুকু অর্থাৎ কোথা হতে কোথা পর্যন্ত জানতে চাই, কারণ লজ্জাস্থানের উরু এবং পশ্চাৎদেশের সন্ধিক্ষণে কোনগুলো লজ্জাস্থানের লোম আর কোনগুলো শরীরের স্বাভাবিক লোম ধরত হবে সেটা বুঝতে একটু সমস্যা হয়...দ্বিতীয়ত, পরিষ্কার করার সময় কি লোমসমূহ একেবারে উপড়ে ফেলতে হবে নাকি ছোট ছোট থাকলেও হবে ? আবার পরিষ্কার করার পরে যদি দুএকটা লোম থেকে যায়, বিশেষ করে পশ্চাৎদেশের দিকে, যেখানে সরাসরি দেখা যায়না বিধায় বেখেয়ালবশত দুএকটা থেকে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে কি লজ্জাস্থান নাপাক হিসেবেই গণ্য হবে ? অর্থাৎ একেবারেই পরিষ্কার কশে ফেলতে হবে নাকি যতটুকু করতে পারা যায়... জানতে চাই ৷

২. বাথরুম শেষ করে ওজু করার পর যদি দেখি লিঙ্গের ফুটোতে প্রস্রাবের পানি বুঝা যাচ্ছে, যেটা গড়িয়ে পড়ার মতো নয়, সেটাকে পরিষ্কার করে নামাজ পড়া যাবে, নাকি ওজু নতুন করে করতে হবে ?

৩. ফরজ গোসল কি প্রতিদিন যেভাবে গোসল করি সেভাবে করলেই আদায় হয়ে যাবে ? তাছাড়া, ফরজ গোসলে কি সরাসরি পানি পৌঁছায় না এমন অংশ যেমন, নাভীতেও পানি পৌঁছাতে হবে ?

৪. নাপাকি লেগে আছে এমন কাপড় পরিধানরত অবস্থায় ওজু করলে কি ওজু হবে ?

নামাজ আদায় করার পর কাপড় বদলিয়ে যদি এমন কাপড় পড়ি, যেটায় নাপাকি লেগে আছে (যেমন প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা এরকম) এমন কাপড় পড়লে কি ওজু ভঙ্গ হয়ে যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো :

পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা শুরু। ঐ ভাঁজ থেকে দুই উরু পর্যন্ত ডান বামের লোম, গোপনাঙ্গের চার পাশের লোম, অণ্ডকোষ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত উদগত লোম এবং প্রয়োজনে মলদ্বারের আশ-পাশের লোম অবাঞ্ছিত লোমের অন্তর্ভুক্ত।

আরো জানুনঃ 

★নাভীর নীচের চুলকে মুন্ডিয়ে ফেলা সুন্নত।তবে ব্লেড ইত্যাদি দিয়ে পরিস্কার বা ঔষধ ব্যবহার করে পরিস্কার করা বা কেচি দ্বারা গোড়ায় কেটে ফেলারও অনুমোদন রয়েছে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
যদি এটি অযু করার পর বের হয়,তাহলে তো অযু ভেঙ্গে গিয়েছে।
উক্ত স্থান পরিস্কার করে পুনরায় অযু করতে হবে।
আর যদি অযু করার আগেই সেটি বের হয়ে থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে সেটির পরিমান যদি এক দিরহামের কম হয়,তাহলে সেই অবস্থায় নামাজ পড়া জায়েজ আছে  (কাপড় বা শরীরে লাগলে সেখানে লাগার পর এক দিরহাম সমপরিমাণ দেখা যাওয়া ধর্তব্য)
,
যদি এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে নামাজ পড়া জায়েজ নেই।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

আরো জানুনঃ 
,
(০৩)

ফরজ গোসলে তিনবার গড়গড়িয়ে কুলি করতে হবে,তিনবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছাতে হবে।
সমস্ত শরীর একবার ধৌত করতে হবে।
কোনো স্থান যেনো পানি পৌছা থেকে ফাকা না থাকে।
,
নাভিতেও পানি পৌছাতে হবে।
 ویجب
إیصال الماء إلی داخل السرة وینبغي أن یدخل إصبعہ فیھا للمبالغة (عالمگیري: ۱/۱۱۳)
সারমর্মঃ
নাভির ভিতর অংশে পানি পৌছানো ওয়াজিব।
পূর্ণ ভাবে পানি পৌছানোর জন্য ভিতরে আঙ্গুল প্রবেশ করা মুনাসিব।

আরো জানুনঃ

(০৪)
হ্যাঁ অযু হয়ে যাবে।
তবে ভেজা পানি সেই নাপাক স্থানে লেগে সেটি শরীরে লেগে যেতে পারে।
এমনটি হলে শরীর নাপাক হয়ে যাবে।
,
তাই এহেন পরিস্থিতির যেহেতু সম্ভাবনা রয়েছে,তাই নাপাক কাপড়ে অযু না করাই সমীচীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...