(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো :
পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা শুরু। ঐ ভাঁজ থেকে দুই উরু পর্যন্ত ডান বামের লোম, গোপনাঙ্গের চার পাশের লোম, অণ্ডকোষ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত উদগত লোম এবং প্রয়োজনে মলদ্বারের আশ-পাশের লোম অবাঞ্ছিত লোমের অন্তর্ভুক্ত।
আরো জানুনঃ
★নাভীর নীচের চুলকে মুন্ডিয়ে ফেলা সুন্নত।তবে ব্লেড ইত্যাদি দিয়ে পরিস্কার বা ঔষধ ব্যবহার করে পরিস্কার করা বা কেচি দ্বারা গোড়ায় কেটে ফেলারও অনুমোদন রয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
যদি এটি অযু করার পর বের হয়,তাহলে তো অযু ভেঙ্গে গিয়েছে।
উক্ত স্থান পরিস্কার করে পুনরায় অযু করতে হবে।
আর যদি অযু করার আগেই সেটি বের হয়ে থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে সেটির পরিমান যদি এক দিরহামের কম হয়,তাহলে সেই অবস্থায় নামাজ পড়া জায়েজ আছে (কাপড় বা শরীরে লাগলে সেখানে লাগার পর এক দিরহাম সমপরিমাণ দেখা যাওয়া ধর্তব্য)
,
যদি এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে নামাজ পড়া জায়েজ নেই।
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
আরো জানুনঃ
,
(০৩)
ফরজ গোসলে তিনবার গড়গড়িয়ে কুলি করতে হবে,তিনবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছাতে হবে।
সমস্ত শরীর একবার ধৌত করতে হবে।
কোনো স্থান যেনো পানি পৌছা থেকে ফাকা না থাকে।
,
নাভিতেও পানি পৌছাতে হবে।
ویجب
إیصال الماء إلی داخل السرة وینبغي أن یدخل إصبعہ فیھا للمبالغة (عالمگیري: ۱/۱۱۳)
সারমর্মঃ
নাভির ভিতর অংশে পানি পৌছানো ওয়াজিব।
পূর্ণ ভাবে পানি পৌছানোর জন্য ভিতরে আঙ্গুল প্রবেশ করা মুনাসিব।
আরো জানুনঃ
(০৪)
হ্যাঁ অযু হয়ে যাবে।
তবে ভেজা পানি সেই নাপাক স্থানে লেগে সেটি শরীরে লেগে যেতে পারে।
এমনটি হলে শরীর নাপাক হয়ে যাবে।
,
তাই এহেন পরিস্থিতির যেহেতু সম্ভাবনা রয়েছে,তাই নাপাক কাপড়ে অযু না করাই সমীচীন।