আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)

মুহতারাম আসসালামু'আলাইকুম,

বর্তমানে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে সারা দুনিয়াতে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। কোন মুসলমান যদি এমন টা বলে বা বিশ্বাস করে বা মনে পোষণ করে যে, "কোভিড ১৯ ভাইরাস মানুষ সৃষ্টি করেছে, এটা চীনাদের ষড়যন্ত্র।" এতে তার কি অবস্থা হবে? আসলেই কি এই ভাইরাস মানুষের সৃষ্টি? অথচ রোগশোক, সুস্থতা এসব কিছুতো আল্লাহ রব্বুল আলামিন দেন। এই বিষয়ে কিছু বলুন শায়খ। 

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

রোগ হওয়ার মূল উপাদন বা উৎস আল্লাহ তা'আলার অজানা থাকে না।এমনকি এগুলো আল্লাহর হুকুমের বাহিরেও নয়।প্রত্যেকটা রোগবালাই-ই প্রথমে আল্লাহর কাছে অনুমতি চায়,আল্লাহ অনুমতি দিলে সে কাউকে আক্রমণ করে।নতুবা করে না।

এইভাবে প্রত্যেকটা ঔষধ প্রথমে আল্লাহ তা'আলা কাছে শেফা কার্যের অনুমতি চায়,আল্লাহ অনুমতি দিলে সে কাউকে সুস্থ করে তুলে।নতুবা তুলে না।

কোভিড-১৯ মানুষের তৈরী মনে করলে, তখন প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি কোনো মানুষ কোনো রোগবালাই কে তৈরী করতে পারে?

এই প্রশ্নের জবাব বুঝার পূর্বে আমাদেরকে দুয়েকটি বাস্তব দৃষ্টান্তের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।যাকে কেউ-ই অস্বীকার করতে পারে না।

(১)
পোল্ট্রি ফার্ম মোরগ- এই মোরগের অস্থিত্ব অতীতকালে ছিলনা।এবং আমেরিকান গরু বা পশুর বিভন্ন ক্রসিং বাচ্ছা- যাদেরকে আমরা বিভিন্ন  প্রজাতির দিকে সংজ্ঞায়িত/ আখ্যায়িত করে থাকি।এগুলোর অস্থিত্বও পূর্বে ছিল না।

(২)

বি আর ২৮/২৯ সহ বর্তমান সময়ের বেশ কিছু ধান, যার অস্থিত্ব ও একসময় ছিল না।

(৩)

কলিং পদ্ধতিতে পশুর জন্ম।এটাও নবযুগে দৃশ্যমান একটি জিনিষ বা পদ্ধতি।

এখন প্রশ্ন জাগে, মানুষ কিকরে এগুলোকে সৃষ্টি করল? এটা কি আমাদের সুস্পষ্ট আক্বিদা-বিশ্বাস "আল্লাহ-ই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা" এর উপর প্রশ্ন সৃষ্টি করে না।

জবাবে বলা হবে যে, এখানে যতগুলো জিনিষ পরবর্তীতে সৃষ্টি করা হয়েছে,সবগুলোর মূল উপাদান কিন্তু আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক অনেক অনেক পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছিলো।অর্থাৎ মূল উপাদান গুলিকে আল্লাহ তা'আলা অনেক পূর্ব থেকেই সৃষ্টি করে রেখেছেন।পরবর্তীকালে ঐ উপাদান গুলিকে সংযোজন-বিয়োজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন কোনো কিছুকে আবিস্কার করা হয়েছে।সুতরাং এটাকে আবিস্কার(খুজে বের করা) বলা যেতে পারে তবে সৃষ্টিকর্তা বলা যাবে না।এ হিসেবে আমাদের আক্বিদার সাথে সাংঘর্ষিকও নয়।

করোনা একটি ভাইরাস।যা শরীরের বিশেষ অঙ্গ ফুসফুসে আক্রমণ করে।এটা নতুন কিছু না।বরং এটা অতীত কাল থেকে মানুষের শরীরে আক্রমণ করে আসছে।সেটাকে মানুষ বহন করে আসছে।কখনো মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণে দূরে সরে যায়,আবার কখনো সে আবার স্বরূপে ফিরে আসে।

যেহেতু এই ভাইরাস সমূহ আদিকাল থেকে মানুষ এবং পশু-পাখীর শরীরে আক্রমণ করে আসছে।যদিও আদিকালে মানুষ সেটা জানত না।সুতরাং বর্তমানে কোনো ভাইরাস কে খুজে পাওয়া এবং সেই ভাইরাসের উপাদান সমূহের সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে, মারাত্বক আকারে নিয়ে আসা, ইসলামি আক্বিদা বিশ্বাসের খেলাফ কিছু না।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

পরামর্শ  প্রদাণে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...