ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
আর আমি মূসা (আঃ) কে প্রেরণ করি আমার নিদর্শনাদি ও সুস্পষ্ট সনদসহ;
إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ فَاتَّبَعُواْ أَمْرَ فِرْعَوْنَ وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ
ফেরাউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে, তবুও তারা ফেরাউনের হুকুমে চলতে থাকে, অথচ ফেরাউনের কোন কথা ন্যায় সঙ্গত ছিল না। ( সূরা হুদ-৯৬-৯৭)
প্রায় সমস্ত জায়গাতেই হযরত মুসার(আ:) কথা প্রাসংগিক উদাহরন হিসাবে আল্লাহ কুরআনে এনেছেন। মূসা(আ:) ও ফেরাঊন সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের মোট ৪৪টি সূরায় ৫৩২টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। ফেরাউন সম্পর্কে বেশী আলোচনা হবার কারন,এর মাধ্যমে ফেরাঊনী যুলুমের বিভিন্ন দিক স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যুগে যুগে ফেরাঊনরা আসবে এবং ঈমানদার সৎকর্মশীলদের উপরে তাদের যুলুমের ধারা ও বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রূপ হবে। কোন যুগই ফেরাঊন থেকে খালি থাকবে না। ফেরাঊন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এই নরাধম সম্পর্কে এত বেশী আলোচনা করেছেন। যাতে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সাবধান হয় এবং যালেমদের ভয়ে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত না হয়।(সংগৃহিত)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যে উল্লেখ করেছেন যে,
" মুসা (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ফিরাউন কে বলেন যে, তুমি যদি ইসলাম কবুল করো তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে চারটি পুরস্কার দিবে। সেগুল হলো,
১। সমস্ত প্রকার অসুস্থতা থেকে মুক্তি।
২। কোনো প্রকারের শত্রু তোমার থাকবে না।
৩। কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়ার বাদশাহী তোমাকে দেয়া হবে।
৪। আজীবন তুমি তরুণ থাকবে।"
এরকম কোনো কথা কুরআন বা বিশুদ্ধ হাদীসে আসেনি।
( ২)
"এমনকি ফিরাউনের পরবর্তী যুগে যারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস করবে, ঈমান আনবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকেও এরকম পুরস্কারে পুরস্ক্রিত করবেন। "
এই কথা ও সঠিক নয়।