আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
505 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
সহশিক্ষা সিস্টেম আছে এমন একটি ভার্সিটিতে আমি অনার্স ২য় বর্ষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়েছি তারপর ইসলামের পছন্দ, অপছন্দনীয় অনেক কিছু নিয়ে জানাশোনার পর বুঝতে পারলাম আমার কি এই বিষয়ে পড়া চালিয়ে যাওয়া উচিত? যেহেতু সেখানে হিন্দু, গ্রিক দেবদেবী (রাধাকৃষ্ণ, মনসা ইত্যাদি), হারাম প্রেমের, কাফিরদের জয়গান (যেমন কাজি নজরুলের একটা কবিতা কামাল পাশাকে নিয়ে 'কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই'),তারপর নিদির্ষট ধর্মের বদলে মানব ধর্মের জয়গান, কবিতায় নারীকে উলঙ্গভাবে বর্ণনা করা হয়, বিভিন্ন অশালীন শব্দের ব্যবহার থাকে।
বিঃদ্রঃ আমি পরিবারের চাপেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার ইচ্ছে ছিল কোন গার্লস কলেজে পড়ার/ একেবারেই আর না পড়ার জেনারেল লাইনে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মুমিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক মুল্যবান।
সময় পেলেই নফল ইবাদত,নেক কাজে মশগুল থাকা দরকার।
,
সুরা মুনাফিকুন এর ১০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
 وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰﴾

আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اغتنم خمسا قبل خمس: شبابك قبل هرمك، وصحتك قبل سقمك، وغناك قبل فقرك، وفراغك قبل شغلك، وحياتك قبل موتك »
“তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণিমত-সুবর্ণ সুযোগ- মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার পূর্বে, তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও তোমার অসুস্থতার পূর্বে, তোমার সচ্ছলতাকে কাজে লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, তোমার অবসরতাকে কাজে লাগাও তোমার ব্যস্ততার পূর্বে, আর তোমার হায়াতকে কাজে লাগাও তোমার মৃত্যু আসার পূর্বে”।
বর্ণনায় হাকিম, হাদিস: ৭৮৪৬ তিনি হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী।
,
 ★বাংলা সাহিত্য  সহ সকল গল্প উপন্যাস এর বই পড়া জায়েজ। 
,
তবে শর্ত হচ্ছে দুটি। প্রথমত, অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণ, এগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পড়বেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উভয় শর্তেরই বিলুপ্তি ঘটেছে,তাই সেই সাবজেক্ট নিয়ে পড়া জায়েজ নেই।
,
সুতরাং সেই সাবজেক্ট চেঞ্জ করুন,সম্ভব না হলে বাদ দিয়ে পরবর্তীতে  অন্য সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করুন।
ফি মিক্সিং পরিবেশে পড়াশোনা না করে  গার্লস কলেজে পড়ার জন্য নিজ বাবা মাকে বুঝিয়ে রাজি করান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...