আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বন্ধুর পক্ষ থেকে প্রশ্নঃ

আমার ছেলের নাম আওসাফ উনাইস ফারজান। বয়স তিন বছর চার মাস। সে তার প্রয়োজন সবসময় বলতে পারেনা, যেমন ক্ষুধা লাগছে, বা সে কিছু চাচ্ছে। তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে সে বলতে পারে সে খাবে। সে ইশারায় কমিউনিকেশন করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সে তার মা,  ফুফু, আমাকে, তার ছোট ভাই কে কামড় দিতে চুল ধরে টেনে ব্যথা দেয়। তবে সে তার ছোট ভাই এর প্রতি অনেক প্রটেকটিভ। 

অন্যান্য সমস্যার মাঝে তার কন্সটিপেশন বা কোষ্টকাঠিন্য এর প্রবলেম আছে। 

অনেক বেশি রাগ করে, প্রায় প্রতি বিষয়ে রাগ করে। চোখ মুখ কুচকিয়ে ফেলে এবং সবাই কে পচা বলে। 

1 Answer

0 votes
by (680,550 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা আহকাফের ৪৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَصَّیۡنَا الۡاِنۡسَانَ بِوَالِدَیۡهِ اِحۡسٰنًا ؕ حَمَلَتۡهُ اُمُّهٗ کُرۡهًا وَّ وَضَعَتۡهُ کُرۡهًا ؕ وَ حَمۡلُهٗ وَ فِصٰلُهٗ ثَلٰثُوۡنَ شَهۡرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ اَشُدَّهٗ وَ بَلَغَ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ۙ قَالَ رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰهُ وَ اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَ اِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۱۵﴾

আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌঁছে এবং চল্লিশ বছরে উপনীত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিআমত দান করেছ, তোমার সে নিআমতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’। 

এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে কিছু ইসলামী স্কলারগন এই দোয়া কথা বলেন।

اللهم اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَ اِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ
উচ্চারণ : (আল্লাহুম্মা) আছ লিহলি ফি  যুররিয়্যাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমিন।

(হে আল্লাহ), আমার বংশধরদের সংশোধন করে দাও, অবশ্যই আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই দোয়া করা যেতে পারে।
,
★একটি আমলঃ

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ  

أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ

তারা কি আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তে অন্য জীবন ব্যবস্থা তালাশ করছে? নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তার অনুগত হবে। সবাই তার কাছে ফিরে যাবে। – সূরা আল ইমরান: ৮৩

যে ব্যক্তির সন্তান বা কোন প্রাণী তাকে কষ্ট দেয়, সে যেন তার কানে সূরা আল ইমরানের ৮৩ নং আয়াত পড়ে। -আল মুজামুল আউসাত লিত্ তাবারানি: ৬৪

সন্তানের অতিরিক্ত জিদ থাকলে, কথা না শোনলে, কথা না মানলে প্রতিদিন ৭ বার সন্তানের কপালের উপরিভাগের চুলে হাত রেখে এ আয়াতখানা পাঠ করে তার চেহারা ও কানে ফুঁ দিলে- জিদ কমে আসে।ইনশাআল্লাহ। 
,
  এ আমল নূন্যতম ২১ দিন লাগাতার করতে হয়।
,
সুতরাং আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এই আমল করা যেতে পারে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (57 points)
আসসালামু আলাইকুম, শাইখ যেই হাদিসের যেই দোয়াটা লিখে দিছেন, ‘দোয়া করা যেতে পারে বলেছেন যেইটা।সেইটা স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়না। বক্স বক্স টাইপ আসছে। আরেকটু লিখে দিবেন ইনশা আল্লাহ! 

আর শাইখ বলছিলাম যে, ২১দিন লাগাতার যে আয়াতের আমলের কথা বললেন প্রতিদিন ৭ বার করে পড়তে। ২১ দিনের মধ্যে বাচ্চাদের মায়েরা হায়েজাগ্রস্থঅবস্থায় কি দুয়া হিসেবে ৭ বার করে ডেইলি আমলটি কন্টিনিউ করতে পারবেন শাইখ? প্লিজ শাইখ কষ্ট করে জানাবেন ইনশা আল্লাহ 
by (680,550 points)
(০১)
اللهم اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَ اِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ

উচ্চারণ : (আল্লাহুম্মা) আছ লিহলি ফি  যুররিয়্যাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমিন।


(হে আল্লাহ), আমার বংশধরদের সংশোধন করে দাও, অবশ্যই আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।

(০২)
হ্যাঁ তিনি হায়েজাগ্রস্থঅবস্থায় দুয়া হিসেবে ৭ বার করে ডেইলি আমলটি কন্টিনিউ করতে পারবেন।

by (57 points)
জাঝাকাল্লাহু খইর শাইখ, শাইখ এইটা  আরেকটু দেখবেন ইনশা আল্লাহ!
আমি ডেইলি ফজরের পরে কুরআনের কিছু আয়াত অথবা সূরা ফাতিহা ৭বার পরে পানিতে একটি বোতলে ফুঁ দিয়ে রাখি বাচ্চাদেরসহ পরিবারের সবার জন্যই সকালে খাই, যেকোন অসুস্থতা এবং সকল কিছুর শিফার নিয়তেই খাই।

এখন হায়েজঅবস্থায় এইটা তো তিলাওয়াত হিসেবে পড়তে পারব না। তাহলে দুয়া হিসেবে কতটুকু পড়তে পারব? সূরাতুল ফাতিহা দুয়া হিসেবে ৭ বার পড়তে পারব?
by (680,550 points)
হায়েজ অবস্থায় সুরা ফাতেহা ৭ বার দোয়া হিসেবে পড়তে পারবেন।
by (57 points)
জাঝাকল্লাহু খইর ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ শাইখ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...