আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
236 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (31 points)
আস সালামু আলাইকুম,

এখন পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি, তালিবান একটি ইসলামি ইমারাহ তৈরি করেছিলো যেখানে আল্লাহর আইন অর্থাৎ শরিয়া দ্বারা পরিচালনা করা হতো। তাই কেউ যদি বলে যে তালিবানি রাষ্ট্র বানাতে চাও তাহলে সে কি আসলে বলতে চাচ্ছে যে ইসলামী শরিয়া দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাও নাকি? সে কি আল্লাহর আইন কে তুচ্ছ জ্ঞান বা বিদ্ধেষ পোষণ করে? যদি করে তাহলে সে কি মুসলিম?

"The establishment of an Islamic state based on Shari`a law in Afghanistan has been the cornerstone of Taliban political goals since the movement began in the 1990s. The growth of Shari`a courts, therefore, will be integral to the Taliban’s post-ISAF calculus. The Taliban likely recognize that their ability to provide law and order through Shari`a capitalizes on the shortcomings of the current formal judicial system in Afghanistan,1 and they will quickly attempt to expand courts to contest Afghan government control and habituate their authority over the local populace. Measuring the development of such courts may provide an insightful barometer of Taliban influence and local control post-2014."

- Combating Terrorism Center, West Point (The Significance of Taliban Shari`a Courts in Afghanistan. MAY 2013, VOLUME 6, ISSUE 5)

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকটা কথা, কাজ সংযত হওয়া চাই।মনে রাখতে হবে,প্রত্যেকটা কথা ও কাজের হিসাব আমাদের সবাইকে দিতে হবে। নিম্নোক্ত হাদীসটি লক্ষ্যণীয়-------

হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)

আমরা জানি তালেবানরা ভিনদেশীদের কাছ থেকে নিজ মাতৃভূমি রক্ষার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে বারবার সফল হয়েছে। অদ্য আমোরিকাও তাদেরকে মুক্তিকামী বলে ঘোষনা দিয়েছে এবং তাদের সাথে শান্তিচুক্তি করেছে।যেখানে আমেরিকা আফগান ও তালেবানকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশ করেছিলো। যারা নিজ মাতৃভূমি রক্ষার জন্য মরবে,তারাতো অবশ্যই শহীদ।

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "(২৯/১৭৪) এ বর্ণিত রয়েছে,
" ﺫﻫﺐ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﻟﻠﻈﻠﻢ ﺃﺛﺮﺍً ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﻘﺘﻮﻝ ﺑﺄﻧﻪ ﺷﻬﻴﺪ ، ﻭﻳُﻘﺼﺪ ﺑﻪ ﻏﻴﺮ ﺷﻬﻴﺪ ﺍﻟﻤﻌﺮﻛﺔ ﻣﻊ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ، ﻭﻣِﻦ ﺻﻮَﺭ ﺍﻟﻘﺘﻞ ﻇﻠﻤﺎً : ﻗﺘﻴﻞ ﺍﻟﻠﺼﻮﺹ ، ﻭﺍﻟﺒﻐﺎﺓ ، ﻭﻗﻄَّﺎﻉ ﺍﻟﻄﺮﻕ ، ﺃﻭ ﻣَﻦ ﻗُﺘﻞ ﻣﺪﺍﻓﻌﺎً ﻋﻦ ﻧﻔﺴﻪ ، ﺃﻭ ﻣﺎﻟﻪ ، ﺃﻭ ﺩﻣﻪ ، ﺃﻭ ﺩِﻳﻨﻪ ، ﺃﻭ ﺃﻫﻠﻪ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ، ﺃﻭ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺬﻣﺔ ، ﺃﻭ ﻣَﻦ ﻗﺘﻞ ﺩﻭﻥ ﻣﻈﻠﻤﺔ ، ﺃﻭ ﻣﺎﺕ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺠﻦ ﻭﻗﺪ ﺣﺒﺲ ﻇﻠﻤﺎً .
ﻭﺍﺧﺘﻠﻔﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﻋﺘﺒﺎﺭﻩ ﺷﻬﻴﺪ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﺍﻵﺧﺮﺓ ، ﺃﻭ ﺷﻬﻴﺪ ﺍﻵﺧﺮﺓ ﻓﻘﻂ ؟ .
ﻓﺬﻫﺐ ﺟﻤﻬﻮﺭ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﻣَﻦ ﻗُﺘﻞ ﻇﻠﻤﺎً : ﻳُﻌﺘﺒﺮ ﺷﻬﻴﺪ ﺍﻵﺧﺮﺓ ﻓﻘﻂ ، ﻟﻪ ﺣﻜﻢ ﺷﻬﻴﺪ ﺍﻟﻤﻌﺮﻛﺔ ﻣﻊ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﻓﻲ ﺍﻵﺧﺮﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ، ﻭﻟﻴﺲ ﻟﻪ ﺣﻜﻤﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ، ﻓﻴُﻐﺴَّﻞ ، ﻭﻳﺼﻠَّﻰ ﻋﻠﻴﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ 
জুমহুর ফুকাহায়ে কিরাম মনে করেন,জুলুম-নির্যাতনে নিহত ব্যক্তির ব্যপারে শহীদের হুকুম আরোপ করা হবে।তবে এ শহীদ সে শহীদ নয়, যে কাফিরদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হবে।
কোন প্রকারের জুলুম-নির্যাতনে নিহত হলে তাকে মাধ্যমে শহীদ কাকে বলা যাবে?এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,চুরের হাতে নিহত ব্যক্তি শহীদ।
ডাকাতের হাতে নিহত ব্যক্তি শহীদ।
খেলাফত বিদ্রোহীর হাতে নিহত ব্যক্তি শহীদ।
আত্মরক্ষার্তে নিহত ব্যক্তি শহীদ।
নিজ মাল, দ্বীন, পরিবারবর্গ  বা মুসলমানদের অথবা (যিম্মিদের) আশ্রয়প্রার্থীদের  রক্ষার্তে নিহত ব্যক্তি শহীদ।
অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জেলে মারা গেলে সেও শহীদ।

এখন ফুকাহায়ে কিরামের নিকট এ ব্যাপারে মাতানৈক্য হয়েছে যে,তাকে কি শুধু আখেরাত হিসেবে শহীদ বলা হবে না দুনিয়া-আখেরাত উভয় হিসেবে শহীদ বলা হবে।

জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন যে, অন্যায়ভাবে নিহত ব্যক্তিকে শুধুমাত্র আখেরাত হিসেবে শহীদ বলা হবে।হ্যা অবশ্যই সে কাফিরের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
তবে শহীদের দুনিয়াবি হুকুম তথা গোসল কাপন তার উপর আরোপিত হবে না।বরং তাকে গোসল দিয়ে কাফন পড়িয়ে তারপর দাফন করা হবে। [আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "২৯/১৭৪] বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/480


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাবান রাষ্ট বানাতে চাই না,এ কথা দ্বারা যদি তার উদ্দেশ্য হয়,কুরআন সুন্নাহকে অবজ্ঞা করা, তাহলে তার ঈমানে সমস্যা চলে আসবে।

আর যদি তার উদ্দেশ্য হয়,ভিন্ন কিছু,যেমন অনুন্নত বা জীবনের মান নিম্ন মানের, তাহলে সে কাফির হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,170 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...