জবাব
(১)
বিসমিল্লাহ হানাফি ফিকহ মতে সূরা ফাতেহার অংশ নয়।তবে শা'ফেয়ী ফিকহ মতে অংশ।
সুতরাং আপনি নামাযে আলহামদু থেকে পড়া শুরু করবেন।
(২)
উভয়টাই বলা যাবে।সর্বক্ষেত্রে
(৩)
বমি মুখভরে হোক বা না হোক,সর্বাবস্থায় অজু ভঙ্গ হবে।গোসল ফরয হবে না।
বমি দুই ধরণের হয়ে থাকে। এক হল মুখ ভরে আসা। আরেক হল হালকা বমি যা মুখ ভরে হয় না।
যদি শিশুর বমি মুখ ভরে আসে, তাহলে উক্ত বমি নাপাক। কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা ছাড়া নামায পড়া জায়েজ হবে না।যদি মুখ ভরে না হয়, তাহলে নাপাক নয়।
وكذا الصبى اذا ارتضع وقاء من ساعته قيل وهو المختار والصحيح ظاهر الرواية أنه نجس لمخالطته النجاسة (حلبى كبيرى، كتاب الصلاة، فصل فى نواقض الوضوء-129)
وكذا الصبي إذا ارتضع وقاء من ساعته لا يكون نجسا والصحيح أنه حدث ونجس في الكل كما في الحلبي قيل وقول الحسن هو المختار(حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الطهارة، باب نواقض الوضوء-88
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,
كل ما يخرج من بدن الإنسان مما يوجب خروجه الوضوء أو الغسل فهو مغلظ كالغائط والبول والمني والمذي والودي والقيح والصديد والقيء إذا ملأ الفم. كذا في البحر الرائق.
وكذا دم الحيض والنفاس والاستحاضة هكذا في السراج الوهاج وكذلك بول الصغير والصغيرة أكلا أو لا. كذا في الاختيار شرح المختار
وكذلك الخمر والدم المسفوح ولحم الميتة وبول ما لا يؤكل والروث وأخثاء البقر والعذرة ونجو الكلب وخرء الدجاج والبط والإوز نجس نجاسة غليظة هكذا في فتاوى قاضي خان
وكذا خرء السباع والسنور والفأرة. هكذا في السراج الوهاج بول الهرة والفأرة إذا أصاب الثوب قال بعضهم: يفسد إذا زاد على قدر الدرهم وهو الظاهر. هكذا في فتاوى قاضي خان والخلاصة خرء الحية وبولها نجس نجاسة غليظة وكذا خرء العلق. كذا في التتارخانية ودم الحلمة والوزغة نجس إذا كان سائلا. كذا في الظهيرية فإذا أصاب الثوب أكثر من قدر الدرهم يمنع جواز الصلاة. كذا في المحيط.
ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/118